যশোরে বিএমএ’র নির্বাচন বয়কট করলো ড্যাব

 

স্টাফ রিপোর্টার:বাংলাদেশমেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) দ্বিবার্ষিক নির্বাচন বয়কট করেছে ডক্টরসঅ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)। নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বও সততা এবং ড্যাব সদস্যদের ভোটার না করাসহ আরও বেশ কয়েকটি অভিযোগেরপ্রেক্ষিতে এ বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।

গতকাল শনিবার নির্বাচনপরিচালনা কমিটির আহ্বায়ককে তাদের এ সিদ্ধান্তের কথা আনুষ্ঠানিকভাবেজানিয়েছে ড্যাব। আগামী ৩ আগস্ট নির্বাচন হওয়ার কথা ছিলো। ড্যাবের অভিযোগে বলা হয়েছে, ‘সুষ্ঠু নির্বাচনে কমিশনের অনীহা, পক্ষপাতিত্ব ও সততা নিয়ে সংশয় রয়েছে।’অন্যদিকে, নির্বাচন বয়কট ও ড্যাবের বক্তব্যকে নাটকবলে অভিহিত করেছেন চিকিৎসকদের আরেকটি সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ)।

ড্যাবনেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন, ২০০৯ ও ২০১১ সালে নিয়মবহির্ভূতভাবে সিভিল সার্জনকেনির্বাচনী বুথে বসিয়ে সরকারি ডাক্তারদের বদলির ভয়ভীতি দেখিয়ে স্বাচিপেরপক্ষে ভোট নেয়া হয়। ভোটের ফলাফল গণণাকালেও অনিয়মের আশ্রয় নেয়া হয়। সুষ্ঠুনির্বাচনের ফলে ২০১১ সালে যখন ড্যাব সমর্থিত প্রার্থীরা অনেক বেশি এগিয়ে, তখন চাতুরি করে তাদের হারানোর চেষ্টা করা হয়।ড্যাবের নেতৃবৃন্দ আরওঅভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় বিএমএ’র নির্বাচনেও কেন্দ্র পরিবর্তনে নির্লজ্জভূমিকা ছিলো কমিশনের। সেসময় পৌর কমিউনিটি সেন্টারের ভোটকেন্দ্রে দলীয়ক্যাডারদের মোতায়েন করে অত্যন্ত ঘৃণিত পন্থায় ডাক্তারদের হুমকি-ধামকিরমাধ্যমে কেন্দ্রে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়।বিএমএর দফতর সম্পাদক ডা.ফারুক এহতেশাম পরাগ অভিযোগ করে বলেন, ‘দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভায় আমাদের ডাকাহয়নি। কোরাম সংকট হলেও তারা জোর করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’

তিনি আরওবলেন, ৭ মে সদস্যদের ভোটার হওয়ার তারিখ থাকলেও তারা নেয়নি। ৭৭ জনডাক্তারকে ভোটার করা হয়নি। এদের মধ্যে সাতজন গতবার নির্বাচনেপ্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ত্রুটিপূর্ণ ভোটার তালিকা সংশোধনে নির্বাচন কমিশনকেবারবার বলা হলেও তাতে কান দেয়নি তারা।ড্যাব নেতৃবৃন্দ বলেন, তাদের সাথে বসে ভোটার তালিকা পুনর্প্রণয়ন ও পুনর্তফশিল করে নির্বাচন করা হলেতারা বিএমএ’র নির্বাচনে অংশ নেবেন।