বেগমপুর প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা সদরের তিতুদহ ইউনিয়নের ছোটআড়িয়া গ্রামের পশুসম্পদ চিকিৎসক হামিদুল ও একসন্তানের জননীকে নিয়ে শোনা যাচ্ছে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য। এ নিয়ে উত্তেজনা দানা বাধলে পুলিশি হস্তক্ষেপে পরিবেশ হয়েছে শান্ত।
এলাকাবাসী জানায়, গতপরশু বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টারদিকে ছোটআড়িয়া গ্রামের মীর কাশেমের ছেলে পল্লি পশু চিকিৎসক হামিদুল গিরীশনগর গোরস্তানপাড়ার একসন্তানের জননী স্বামী পরিত্যক্তাকে গ্রামের মাঠের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় স্থানীয় যুবক শাহালম, গফুর, জাহাঙ্গীরসহ কয়েকজন তাদের পিছুনেই। লোকজনের উপস্থিতিটের পেয়ে হামিদুল স্বামী পরিত্যক্তাকে ফেলে পালিয়ে যান। বেরসিক লোকজন স্বামী পরিত্যক্তাকে রাত ২টার দিকে তুলে দেয় তিতুদহ ক্যাম্প পুলিশের হাতে। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, হামিদুল আমাকে ডেকেছিলো ঠিকই তবে কোনো খারাপ উদ্দেশে নয়। পরে পুলিশ ওই স্বামী পরিত্যক্তাকে তার পরিবারের লোকজনের হেফাজতে তুলে দিলে পরিবেশ হয় শান্ত।
এদিকে স্বামী পরিত্যক্তা অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয় যুবলীগ নেতা শাহালম, গফুর, জাহাঙ্গীরসহ কয়েকজন আমাকে অস্ত্রের মুখে জোরপূর্বক বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় এবং মারপিট করে। পুলিশের নিকট তাদের শেখানো কথা বলতে বাধ্যকরে। এদিকে হামিদুল বলেন, আমার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং ষড়যন্ত্রমূলক। এবিষয়ে তিতুদহ ক্যাম্পপুলিশের ইনচার্জ এসআই ওয়ালিউর রহমান বলেন, স্বামী পরিত্যক্তাকে তার পরিবারের লোকজনে নিকট তুলে দেয়া হয়েছে। এ ঘটনা নিয়ে গিরীশনগর এলাকায় দিনভর চলতে থাকে আলোচনা-সমালোচনা। একটি সূত্র জানিয়েছে, কতিপয় যুবক রাতেই হামিদুলদের বাড়ি গিয়ে ৩০ হাজার টাকায় মীমাংসার করে দেবে বলে প্রস্তাবও করে।