দামুড়হুদায় লাউ আবাদে মাঠ পর্যায়ে ব্যাপক সাড়া

 

 

স্টাফ রিপোর্টার: এক সময়ে শীতকালীন জনপ্রিয় সবজি ছিলো লাউ। লাউ এখন আর শীতের সবজি নয়। এখন প্রায় বারো মাস এর আবাদ হচ্ছে। চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় এবার বর্ষা মরসুমে হাইব্রিড জাতের অধিক ফলনশীল লাউ চাষ করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছে উপজেলার নতুন হাউলী গ্রামের ছাব্দার আলী নামের এক লাউচাষি। নিজের বুদ্ধি আর অন্য লাউচাষিদের পরামর্শে এ সবজি আবাদ করে সাফ্যলের দোরগোড়ায় এসে পৌঁছেছে।

জানা গেছে, উপজেরার নতুন হাউলী গ্রামের আরশেদ আলীর ছেলে ছাব্দার আলী বলেন,গ্রামে চমক দেখাতে বর্ষা মরসুমে হাইব্রিড জাতের লাউচাষের পরিকল্পনা গ্রহণ করি। গ্রামের আবড়ার মাঠে এক বিঘা জমি১০ হাজার টাকায় এক বছরের জন্য লিজ নিয়ে লাউ আবাদ শুরু করি। শুরুতেই নানা প্রতিকূলতা চেপে ধরে। তবু স্বপ্ন পূরণের জন্য জমি চাষ দিয়ে লাউ আবাদের উপযোগী করে গড়ি তুলি। ভালো জাতের অধিক ফলনশীল হাইব্রিড জাতের বীজ সংগ্রহ করে জমিতে রোপণ করি। ফাল্গুন মাসের শেষের দিকে বীজ রোপণ করে আষাঢ় মাস থেকে ফলন পেতে শুরু করেছি। প্রতিদিন চারার পরিচর্চা, রোগবালাই প্রতিরোধে বালাই নাশক স্প্রে,জন মজুরির টাকা, আর এক বিঘা জমিতে তার বাঁশ দড়ি দিয়ে মাঁচা (বান) করতে ২০ হাজার টাকার বাড়তি খরচের ধকলে পড়ি। চারা লতিয়ে মাঁচায় উঠলে গাছে ফুল-ফল আসতে শুরু করে।গাছে লাউ আসার পর এক কাটুনে ৩০টি লাউ ধরে এমন ১২ কাটুনে লাউ ভরে ঢাকার কাওরান বাজরের পাঠাই। প্রথম চালানে প্রতি পিস লাউ ৮০ টাকা দরে বিক্রি করি। বর্তমান বাজার দর কমে গেছে। ঢাকার কাওরান বাজারে দ্বিতীয় চালানটি প্রতিপিস লাউ ৪০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। লাউ বিক্রি করতে ঢাকার কাওরান বাজারে যাওয়া লাগেনা।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সেলিম হোসেন বলেন, এক সময়ে শীতকালীন জনপ্রিয় সবজি ছিলো লাউ। লাউ এখন আর শীতের সবজি নয়। লাউ এখন প্রায় বারো মাস আবাদ হচ্ছে।