দামুড়হুদায় হত্যা মামলায় নিরীহ সাধারণ লোকজনকে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

 

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদার নতিপোতা ইউনিয়নের কালিয়াবকরি গ্রামের মুকুল হত্যার ঘটনায় এলাকার নিরীহ লোকজনের নামে মিথ্যা অভিযোগ তুলে মামলায় জড়িয়ে হয়রানি এবং অর্থ বাণিজ্যের অপচেষ্টার প্রতিবাদে আসামি পক্ষের লোকজন সংবাদ সম্মেলন করেছে।সংবাদ সম্মেলনে গ্রামবাসীরা লিখিত বক্তব্যে বলেছে, ‘গত ৩ জুন সকালে কালিয়াবকরি ভুড়োরগাগি মাঠের একটি আমবাগানের আমগাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় ওই গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে মুকুলের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই দিন নিহত মুকুলের পিতা বাদী হয়ে এলাকার ৪ জন নিরীহ ব্যক্তির নাম উল্লেখ করে দামুড়হুদা থানায় একটি হত্যামামলা দায়ের করেন। এঘটনার পর মাস দেড়েক আগে কালিয়াবকরির মৃত আত্তাপের ছেলে ভুট্টু ডাক্তারের কথামতো দামুড়হুদা থানার ওসি ওই গ্রামের ছাত্তারের ছেলে মানিককে থানায় ধরে নিয়ে যায় এবং ৬০ হাজার টাকার বিনিময়ে তাকে দু দিন পর ছেড়ে দেয়।এরই ধারাবাহিকতায় গ্রামের ওই কুচক্রীমহলের প্রধান ভুট্টু ডাক্তার ও তার ভাই নায়েব আলী অর্থ বাণিজ্যের উদ্দেশে গত শুক্রবার নিহত মুকুলের পিতা নুরুল ইসলামকে ভুল বুঝিয়ে সংবাদ সম্মেলন করিয়েছেন।

প্রকৃত ঘটনা হলো নিহত মুকুল ছিলো এলাকার একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও নারীলোভী ব্যক্তি। চাঁদাবাজির টাকা ভাগাভাগি করাকে কেন্দ্র করে নিজেদের ভেতরে দ্বন্দ্বের জের ধরে অথবা নারীঘটিত কোনো ঘটনার কারণে সে খুন হয়ে থাকতে পারে বলে এলাকায় যথেষ্ট জনশ্রুতি রয়েছে। নিহত মুকুল ও তার পিতা দু বছর আগে মেহেরপুর এলাকার চোরকে তাড়িয়ে ধরে সোনাপুর গ্রামের পাশে হত্যা করেছিলো। এঘটনার জের ধরেও সে খুন হতে পারে। এছাড়া কালিয়াবকরি গ্রামের মৃত আত্তাপ উদ্দিনের ছেলে ভুট্টু ডাক্তার এলাকায় পুলিশের একজন চিহ্নিত দালাল হিসেবে তাকে সবাই চেনে ও জানে। তিনি ও তার ভাই নায়েব আলীসহ এলাকার কিছু কুচক্রীব্যক্তি মুকুল হত্যার ঘটনাকে পুঁজি করে নিহত মুকুলের পিতার সাথে হাত মিলিয়ে এলাকার নিরীহ লোকজনের নামে মিথ্যা অভিযোগ তুলে আবারও অর্থ বাণিজ্যের পাঁয়তারা করছেন। কিছু দিন আগে মানিককে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে ওসির নাম করে ৬০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে। যা এলাকায় তদন্ত করলে তার প্রমাণ মিলবে।