জীবননগর হাসপাতালে সেকমোয় ভরসা!

 

 

স্টাফ রিপোর্টার: ৩১ শয্যার জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে ১০৬ জন চিকিৎসক ও কর্মচারীর স্থলে রয়েছে ৮৬ জন। গুরুত্বপূর্ণ পদে চিকিৎসকসহ ২০টি পদ শূন্য থাকায় হাসপাতালের দৈনন্দিন কাজকর্ম চরমভাবে ব্যহত হচ্ছে। রোগীরা হচ্ছে হয়রানির শিকার। চিকিৎসকের মধ্যে জুনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জারী), জুনিয়র কনসালটেন্ট (গাইনি) ও জুনিয়র কনসালটেন্ট (অ্যানেসথেসিয়া) পদ বছরের পর বছর শূন্য থাকায় বিগত ১০ বছর ধরে হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটার বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও আবাসিক মেডিকেল অফিসার, জুনিয়র কনসালটেন্ট (মেডিসিন), মেডিকেল অফিসার, সহকারী ডেন্টাল সার্জন, ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে মেডিকেল অফিসার পদ শূন্য রয়েছে। ১৪টি চিকিৎসক পদের মধ্যে ৯টি চিকিৎসকের পদ শূন্য থাকায় এ হাসপাতালে রোগীদের নিকট কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (সেকমো) এখন প্রধান ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ৬ জন ডিপ্লোমা চিকিৎসক এখানে পালাক্রমে রাত-দিন চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত রয়েছেন। এছাড়াও সহকারী নার্স, পরিসংখ্যানবিদ, ফার্মাসিস্ট, স্বাস্থ্য সহকারী পদে ১১ জন লোকবল সংকট রয়েছে।

দীর্ঘ ৭ বছর ধরে হাসাপাতালের এক্সরে মেশিন বন্ধ থাকায় রোগীদের মারাত্মক অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয়। সেইসাথে রয়েছে ওষুধের অপ্রতুল সরবরাহ। পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থায় মারাত্মক ক্রটি রয়েছে। সকাল হলেই দালালচক্র হাসপাতালটিতে ভিড় করে রোগীদের বিরক্তের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। হাসপাতালের বাইরের রয়েছে বহিরাগত বখাটে ও মাদকাসেবীদের উৎপাত। রাত নামলেই হাসপাতালের এক শ্রেণির অসাধু ও মাদকাসক্ত কর্মচারীদের সহযোগিতায় হাসপাতাল কম্পাউন্ডের পেছনে বসে মাদকের আড্ডা।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. মো. আবু হাসানুজ্জামান নূপুর জানান, হাসপাতালটিতে পার্শ্ববর্তী মহেশপুর উপজেলার রোগীদের ব্যাপক চাপ রয়েছে। গত জুন মাসে হাসপাতালের বহির্বিভাগ থেকে ৮ হাজার ১৭২ জন রোগী চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করে। এর মধ্যে ৮৬৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা প্রদান করা হয়। গত বছর এ হাসপাতালটি ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে এবং সেলক্ষ্যে চলতি বছর ভবন নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। ভবননির্মাণ শেষ হলে চিকিৎসক ও ওষুধ সংকটের সমাধান এবং অপারেশন থিয়েটার চালু করাসহ অন্যান্য অব্যবস্থা নিরসন করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।