Untitled

 

জীবননগর ব্যুরো: দাওয়াতপত্রে অতিথি হিসেবে উপজেলা চেয়ারম্যানের নাম না থাকায় জীবননগর উপজেলা পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত ইফতারি অনুষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। ইউএনওকে উপজেলা মোবাইলফোনে এ ব্যাপারে আপত্তি ও শেষমেশ সংসদ সদস্যর নির্দেশে ইউএনও নূরুল হাফিজ গতকাল মঙ্গলবার এ ইফতারি আয়োজন বন্ধ ঘোষণা করেন। জীবননগর পরিষদ উপজেলা হলরুমে গতকাল এ ইফতারি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো। দাওয়াতপত্র বিতরণ করার ৩ দিন পর গতকাল আয়োজনের দিন ইফতারি অনুষ্ঠান বন্ধ হওয়ায় ইউএনও ও তার অফিসকে ৩০০ দাওয়াতি মানুষকে এ অনুষ্ঠান বন্ধ হওয়ার খবর জানাতে হয়। এ ঘটনায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ উপজেলাজুড়ে আলোচনা-সমালোচনার ঢেউ বয়ে যাচ্ছে।

জানা যায়, পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে প্রতিবছর জীবননগর উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ইফতারি দেয়া হয়। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, জনপ্রতিনিধি, সূধী, সাংবাদিক ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ীদের সম্মানে এ ইফতারি পার্টির আয়োজন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ইউএনও নূরুল হাফিজ আহ্বায়ক হয়ে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজি আলী আজগার টগরকে প্রধান অতিথি করে গত ১৩ জুলাই অতিথিদের ইফতারির দাওয়াতপত্র বিতরণ করেন। গতকাল ছিলো ইফতারির নির্দিষ্ট দিন। দাওয়াতপত্রে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপজেলা চেয়ারম্যান পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি আবু মো. আ. লতিফ অমলের নাম না থাকায় সোমবার রাতে ইউএনওকে মোবাইলফোনে এ ইফতারি অনুষ্ঠান বন্ধ করার কথা বলা হয়। রাতেই আবার সংসদ সদস্য ত্রুটিপূর্ণ দাওয়াতপত্রের কারণে এ ইফতারির আয়োজন বন্ধ করতে ইউএনওকে নির্দেশ দেন বলে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূরুল হাফিজ সাংবাদিকদের জানান এমপি সাহেবের হয়তো অন্য কোথাও গুরুত্বপূর্ণ দাওয়াত রয়েছে, এ জন্য তিনি ইফতারির আয়োজন বন্ধ রাখতে বলেছেন। উপজেলা চেয়ারম্যান আবু মো. আ. লতিফ অমল সাংবাদিকদের জানান, কাগজপত্রে ত্রুটি থাকায় ইফতারির আয়োজন সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।