ফলে রাসায়নিক দেয়া বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশনা

স্টাফ রিপোর্টার: ফলে রাসায়নিক দ্রব্যের ব্যবহার বন্ধে আগামী ছয় মাসের মধ্যে দেশের সব স্থল ওসমুদ্র বন্দরে কেমিকেল টেস্ট ইউনিটস্থাপন ও গাইড লাইন (নীতিমালা)প্রণয়নসহ পাঁচ দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় প্রকাশ করেছে হাইকোর্ট।রায়ে বলাহয়েছে, ফল পাকাতে ও পচন রোধে রাসায়নিক দ্রব্যের ব্যবহার বন্ধে সরকারকেএকটি নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। রায়ের অনুলিপি পাওয়ার ছয় মাসের মধ্যে এইনীতিমালা প্রণয়ন করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। প্রণীত নীতিমালা প্রশাসনের মাঠপর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া ফলে রাসায়নিক দ্রব্য মেশানো হলে এরসাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নিতে আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি সার্কুলার জারি করতে সরকারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।যাতে এর মূল হোতাদের বিচার করা যায়। বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী ওবিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেনের ডিভিশন বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করে। ঘোষিত রায়প্রায় আড়াই বছর পর প্রকাশ পেলো। বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী বর্তমানে আপিলবিভাগের বিচারক এবং বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালেরবিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

ফলে রাসায়নিক দ্রব্যের ব্যবহারবন্ধে হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়ের করে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটসঅ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ। এই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১০ সালের ১০ মে হাইকোর্টরুল জারি করে। ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১২ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারিবিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ এ রায়ঘোষণা করে। গতকাল এ রায়ের অনুলিপি প্রকাশ পেয়েছে।

হাইকোর্টেরঘোষিত রায়ে কেমিকেল টেস্ট ইউনিটস্থাপনের নির্দেশ দিয়ে বলা হয়েছে, এইটেস্ট ইউনিটে রাসায়নিক পরীক্ষা করে আমদানি করা ফল যেন বাজারে ছাড়া হয় এবংরাসায়নিক দ্রব্য মেশানো কোনো ফল দেশে যাতে প্রবেশ করতে না পারে। আমেফরমালিনসহ সব ধরনের রাসায়নিক দ্রব্যের ব্যবহার বন্ধে রাজশাহীসহ দেশেরঅন্যান্য আম উত্পাদনকারী এলাকায় আমের মরসুমে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীমোতায়েন করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া কমিটি করে সারা বছর সব ফলেরবাজার ও সংরক্ষণাগারে পর্যবেক্ষণ চালাতে হবে, যাতে কেউ ফলে রাসায়নিক দ্রব্যমিশ্রণ করে তা বাজারে বিক্রি করতে না পারে।