মাথাভাঙ্গা মনিটর: কে জিতবে বিশ্বকাপ শিরোপা- এ নিয়ে চিরায়ত উত্তেজনা,আগ্রহ তো রয়েছেই।পাশাপাশি কার হাতে উঠবে গোল্ডেন বল,তা নিয়েও সমর্থকদের বিরাট আগ্রহ।বরাবরের মতো এবারও ১০ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করেছে ফিফা। ঠাঁই পাওয়া১০ জনের চারজনই জার্মানির,তিনজন আর্জেন্টিনার আর বাকি তিনজন ব্রাজিল,কলম্বিয়া ও হল্যান্ডের। এখানে ইংরেজি নামের আদ্যক্ষর অনুযায়ী ‘গোল্ডেন বল’প্রার্থীদের তালিকা দেয়া হলো।
অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়া (আর্জেন্টিনা)লিওনেল মেসির‘ডান হাত’বলা চলে তাকে। মধ্যভাগ সামলে প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগ কাঁপাতেযথেষ্ট পারঙ্গম রিয়াল তারকা। দূরপাল্লার শট,গতি,দুর্বোধ্য ড্রিবলিং,ফিনিশিং স্কিল- অসাধারণ এক প্যাকেজ। দ্বিতীয় পর্বে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষেআর্জেন্টিনার জয়সূচক একমাত্র গোলটি ডি মারিয়ার।
ম্যাটস হামেলস (জার্মানি)বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের এসেন্টার হাফ দারুণ ঝলক দেখিয়েছেন চলতি বিশ্বকাপে। জার্মান রক্ষণ অক্ষতরাখতে বদ্ধপরিকর। শুধু রক্ষণভাগ আঁকড়ে বসে থাকেননি,কখনো কখনো প্রতিপক্ষেরজালে বল জড়িয়ে দিয়ে এসেছেন। গোল করেছেন পর্তুগাল ও ফ্রান্সের বিপক্ষে।
টনি ক্রুস (জার্মানি)কোয়ার্টার ফাইনালেব্রাজিলকে ৭-১ গোলে বিধ্বস্ত করার নেপথ্যের অন্যতম নায়ক ক্রুস। মধ্যভাগেযেমন দাপট,তেমনি প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগে ফাটল ধরাতেও তিনি বেশ পটু।বিশ্বকাপে দারুণ ধারাবাহিকতা বেশ এগিয়ে রেখেছে ক্রুসকে।
ফিলিপ লাম (জার্মানি)জার্মান অধিনায়ক যেন দলেরনিউক্লিয়াস। গোটা দলকে এক সুতোয় গেঁথে তছনছ করেন প্রতিপক্ষের স্বপ্ন-সাধ।মাঠে লাম থাকা মানে জার্মান দলের পালে দুরন্ত হাওয়া!
হাভিয়ের মাচেরোনা (আর্জেন্টিনা)আর্জেন্টিনাদলের রক্ষণভাগ বরাবারই টেনেটুনে পাস নম্বর পেয়ে এসেছে। কিন্তু এবারেরবিশ্বকাপে নীল-সাদাদের রক্ষণভাগের অন্য চেহেরা। দলের রক্ষণভাগকে চীনেরমহাপ্রাচীরে পরিণত করতে যার অবদান সবচেয়ে বেশি,তিনি মাচেরানো।সেমিফাইনালে আরিয়েন রোবেনের দুরন্ত ওই প্রচেষ্টায় শেষ মুহূর্তে মাচেরানোযদি পা পেতে না দিতেন,তাহলে কী হতো কেউ কি ভেবে দেখেছেন?
লিওনেল মেসি (আর্জেন্টিনা)তাকে নিয়ে নতুন করেবলার কী আছে! নিঃসন্দেহে এ বিশ্বকাপ খুদে জাদুকরের কাছে অন্য রকম। দলকে ২৪বছর পর ফাইনালে তোলার পেছনে তার অবদান দু-এক কথায় বলা মুশকিল। টানা চারবারম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়ে রেকর্ড গড়েছেন। গোল করেছেন,করিয়েছেন। মোদ্দা কথা,তিনিই আর্জেন্টিনার প্রাণ।
টমাস মুলার (জার্মানি)বিশ্বকাপ যেন পুরস্কারেরডালি নিয়ে বসে থাকে মুলারের জন্য! গত বিশ্বকাপে জিতলেন গোল্ডেন বুট। এবারওসে দৌড়ে আছেন। আছেন গোল্ডেন বলের দৌড়েও। মুলার মানেই প্রতিপক্ষের ত্রাস।এবার গোল্ডেন বল জিতলে তাতে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
নেইমার (ব্রাজিল)ব্রাজিলের স্বপ্ন আবির্ভূতহয়েছিলো তাকে ঘিরে। ছোট্ট কাঁধে বিরাট দায়িত্ব নিয়ে ভালোভাবেই এগোচ্ছিলেন।কিন্তু কলম্বিয়ার ডিফেন্ডার জুনিগার এক আঘাতে তার মেরুদণ্ডের মারাত্মক চোটেবিশ্বকাপ শেষ হয়েছে শেষ আটে। তবুও গোল্ডেন বলের দৌড়ের সংক্ষিপ্ত তালিকায়ভালোভাবেই জায়গা করে নিয়েছেন বিশ্বকাপের পোস্টার বয়।
আরিয়েন রোবেন (হল্যান্ড)বল নিয়ে রোবেনেরখেপাটে দৌড় মানেই প্রতিপক্ষের আত্মরাম খাঁচাছাড়া! গতি,স্কিলে দুর্দান্ত একফরোয়ার্ড। নিজেদের প্রথম ম্যাচেই স্পেনকে গুঁড়িয়ে দেয়ার অন্যতম নায়ক।সেদিন ইকার ক্যাসিয়াসকে নিয়ে যেভাবে খেলেছিলেন,ফুটবলপ্রেমীদের চোখে লেগেথাকবে বহুদিন।
হামেস রদ্রিগেজ (কলম্বিয়া)‘আলো ছড়াবেনযারা’- বিশ্বকাপের আগে এ তালিকায় তার ঠাঁই পাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না! বরংরাদামেল ফ্যালকাও না থাকায় আক্ষেপ-দীর্ঘশ্বাসে ভারী হয়ে উঠেছিলো কলম্বিয়ারসমর্থকদের মন। কিন্তু রদ্রিগেজ-আলোয় সে দুঃখ অনেকটাই ঘুচেছে কলম্বিয়ানদের।এখনো পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি গোলে (৬) গোল্ডেন বুটের জোর দাবিদার। গোল্ডেন বলপাওয়ার দৌড়ের আছেন ভালোভাবেই।