স্টাফরিপোর্টার: দর্শনা কেরুজ চিনিকলের আওতাধীন ঘোলদাড়ি বাণিজ্যিক খামারের ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ গোলাম কিবরিয়ার বিরুদ্ধে ডিজেল তেলচুরিসহ উঠেছে নানাবিধ অভিযোগ। চুরিকৃত ডিজেল ক্রয়করে সেন্ট্রাল স্টোরে জমাদেয়ার নির্দেশ দেয়া হলেও ক্ষমতার দাপটে নির্দেশ মানা হচ্ছেনা কর্তৃপক্ষের। প্রশ্ন উঠেছে কিবরিয়ার হাত কি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের চাইতে লম্বা?
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাগেছে, কেরুজ ঘোলদাড়ি বাণিজ্যিক খামারের ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ হিসেবে গোলাম কিবরিয়া দায়িত্বপালন করাকালে ওই ফার্মের ৭৩০ লিটার ডিজেল চুরি করে বিক্রি করা, ভাই গোলাম ফরুককে দৈনিক পাহারাদার হিসেবে কাজে লাগিয়ে তার ওপর ফার্মের সকল দায়িত্ব দেয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। অভিযোগের কারণে গোলাম কিবরিয়াকে ঘোলদাড়ি ফার্ম থেকে ৩ জুন বদলি করে ফুলবাড়ি ফার্মের ইনচার্জ হিসেবে আবারও দায়িত্ব দেয়া হয়। ঘোলদাড়ি ফার্মের দায়িত্ব দেয়া হয় মোস্তফা কামালকে। প্রশ্ন উঠেছে সিডিএ (কর্মচারী) হয়ে অভিযুক্ত গোলাম কিবরিয়া অফিসার হিসাবে কীভাবে আবারও দায়িত্ব পান। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ চুরিক্রিত ডিজেল কিনে ৮ জুলাই হিজলগাড়ি সেন্ট্রাল স্টোরে জমা দেয়ার নির্দেশ দিলেও তা আজঅবধি সেই নির্দেশ মানেননি তিনি। তাই ১১ জুলাই এক নির্দেশ নামায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সাফ জানিয়ে দিয়েছে ডিজেল কিনে জমা না দিলে গ্রহণ করা হবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা।
এদিকে প্রশ্ন উঠেছে ডিজেল চুরির বিষয়টি প্রমাণিত হলেও পুনরায় তাকে অপর একটি ফার্মের ইনচার্জ হিসাবে কীভাবে বা কোন ক্ষমতার জোরে দায়িত্ব পেলেন? গোলাম কিবরিয়ার হাত কি কর্তৃপক্ষের চাইতে লম্বা? এবিষয়ে কেরুজ চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সাথে যোগাযোগ করা হলে, তিনি বলেন এখন ব্যস্ত আছি। এ ব্যাপারে গোলাম কিবরিয়ার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তা সম্ভব হয়নি।