মাথাভাঙ্গা মনিটর:ফিসফাস চলেছে বছরের পর বছর, বার বার হতে হয়েছে শতপ্রশ্নের মুখোমুখি। তারপরও কখনও হাসি, কখনও পাল্টা প্রশ্নে এড়িয়ে গেছেনরাণী মুখার্জি। অবশেষে বিয়ের পর আদিত্য চোপড়ার সাথে বিয়ের আগের ও পরেরসম্পর্ক নিয়ে মুখ খুললেন হিন্দি সিনেমার এই অভিনেত্রী।
ভারতীয় দৈনিক টাইমস অফ ইন্ডিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎকারে রানি খুলে দিয়েছেনতার ব্যক্তিগত জীবনের খাতা। জানালেন, আদিত্যর সঙ্গে তার প্রেমের গুঞ্জনযদিও পাঁচ বছর আগে থেকেই চলছে, তাদের প্রেমের সূত্রপাত হয় তিন বছর আগে।আদির সাবেক স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পরই আমার সঙ্গে তার সম্পর্কেরশুরু। সময়টা এমন ছিল, আমরা দুজনই খুব কষ্টে ছিলাম। আর তাই আমাদের ঘনিষ্ঠতাহতে বেশি সময় লাগেনি।কিন্তু গণমাধ্যমগুলোতে বার বার এমনভাবে নানা তথ্য তুলে ধরা হয়েছে যাতেমনে হতে পারে আদিত্য চোপড়ার ঘর ভাঙ্গার কারণ আসলে রাণীই। এমনটাও শোনা গেছে, আদিত্যর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণে রানির ক্যারিয়ারে এসেছে সাফল্য।এ বিষয়ে রানির বলেন, নির্দিষ্ট কয়েকজন সাংবাদিক বিশেষ কিছু উদ্দেশ্যনিয়ে এ ধরনের গুঞ্জনের জন্ম দিয়েছেন। কিন্তু সত্যি কথা বলতে কী, আদির সঙ্গেপ্রেম শুরু হবার পর থেকে আমি তার ব্যানারে কোন সিনেমা করিনি।তিনি আরও বলেন, নিজের প্রযোজকের সঙ্গে কাজ করা আবার প্রেম করা-আমারপক্ষে সম্ভব নয়। তাই হয়তো খেয়াল করবেন, গত তিন বছরে মুক্তি পেয়েছে আমারতিনটি সিনেমা-‘নো ওয়ান কিলড জেসিকা’, ‘আইয়া’ এবং ‘তালাশ’, যার একটিও আদিরপ্রযোজিত ছিল না।
তাহলে এতদিন ধরে অন্যের ঘর ভাঙ্গার কারণ হয়ে রইলেন কেন রাণী?কেন গণমাধ্যমের সামনে মুখ খোলেননি কখনও? রাণীর মতে, তিনি একজন তারকা হলেও তার ব্যক্তিগত জীবনের খবর যখনসংবাদমাধ্যমে প্রচারিত হয়, তখন এর জন্য জবাবদিহি করতে হয় তার পরিবারকেও। আরতাই খুবই ভেবেচিন্তে পা ফেলেছেন তিনি।এতোটা বছর অনেকেই ভেবেছেন আমি অপরাধী, তাই মুখ খুলছি না। কিন্তু সত্যিকথা হল, আমি কখনই লজ্জিত ছিলাম না কিংবা সংকোচ করিনি। কারও সঙ্গে প্রেম হলেসম্পর্কটি গভীর হতে সময় লাগে। আর তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, বিয়ের পরইমুখ খুলবো। যেন আমার জন্য আমার পরিবারকে কোন জবাবদিহি করতে না হয়। রাণী জানান, ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’ সিনেমায় অভিনয়ের সময় থেকেই আদিরসঙ্গে পরিচয় তার। বন্ধু হিসেবে সবসময়ই ছিলেন একে অপরের পাশে, তবে তা প্রেমেগড়ায়নি।স্বামীর ব্যাপারে রানির মতামত, প্রতিটি মেয়ের নিজস্ব কিছু ভাবনা থাকেতার সঙ্গীর ব্যাপারে, আমারও ছিলো। আর আদির মধ্যে আমি সেইসব গুন খুঁজেপেয়েছি। তিনি হলেন আমার কাছে দেবতা শিবের মত, তিনি আমার পাশে থাকলে আমিসবচেয়ে শান্ত থাকি।রাণী আরও জানালেন প্রেমের ইঙ্গিত এসেছিল প্রথমে আদির তরফ থেকেই, আমিসবসময়ই সেকেলে পদ্ধতির প্রেমে বিশ্বাসী। আর তাই আমার বাড়িতে এসে বাবা-মায়েরসামনে বসে আদি প্রথমবারের মত আমাকে তার সঙ্গে ডেটে যাবার প্রস্তাব দেন।আমার জন্য এর চাইতে সুন্দর স্মৃতি আর কিছুই হতে পারে না। চলতি বছরের ২১ এপ্রিল ইতালির এক গ্রামে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হনরাণী-আদিত্য জুটি। চরম গোপনীয়তার মধ্যেও তাদের বিয়েটা হয়েছে বাঙালি নিয়মেই।