ভারসাম্যের বিশ্বকাপ

মাথাভাঙ্গা মনিটর: কী দারুণ সময়ই না কাটলো ফুটবলপ্রেমীদের। দল-মত-সমর্থনের ঊর্ধ্বে উঠতে পারলেফুটবলপ্রেমীদের জন্য এর চেয়ে রোমাঞ্চকর বিশ্বকাপ আর কবে এসেছিল?ব্রাজিলবিশ্বকাপকে এরই মধ্যে ইতিহাসের সেরা বিশ্বকাপের মর্যাদা দেয়া হচ্ছে।প্রতিটি ম্যাচে উত্তুঙ্গ প্রতিদ্বন্দ্বিতা,গোলের পর গোল,ব্যক্তিগতক্রীড়াশৈলীগত তিনটি সপ্তাহ স্বপ্নের মতোই ছিলো ফুটবল-রোমান্টিকদের জন্য।ব্রাজিলকেবিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব দেয়ার সময়ই ফিফা-কর্তাদের অবচেতন মনে হয়তোবিষয়টা ছিলো,যে ব্রাজিলকে ফুটবল-স্পিরিটের সূতিকাগার হিসেবে অভিহিত করা হয়, সেই ব্রাজিলের মাটি বিশ্ববাসীকে এমন একটি বিশ্বকাপ উপহার দেবে,যাইতিহাসের অবিস্মরণীয় অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হবে। এবারের বিশ্বকাপে দ্বিতীয়রাউন্ড শেষে কোয়ার্টার ফাইনালের যে লাইনআপ,ফিফা কর্তারা নিশ্চয়ই তা দেখেদারুণ পুলকিত। আট গ্রুপের আট শীর্ষ দলই এবার জায়গা করে নিয়েছে কোয়ার্টারফাইনালের লড়াইয়ে। সবচেয়ে বড় কথা,এবারের বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল এনেদিয়েছে বিশ্ব ফুটবলে শক্তির এক দারুণ ভারসাম্য। ইউরোপ আর আমেরিকা (লাতিন ওমধ্য) থেকে চারটি করে দলের কোয়ার্টার ফাইনালে পদার্পণ ফুটবলের শুদ্ধচারীদেরঅন্তত একটি ব্যাপারে স্বস্তি এনে দিচ্ছে যে ফুটবল বিশ্ব এখন আর কোনোনির্দিষ্ট মহাদেশের হাতে কুক্ষিগত হয়ে নেই।যদিও ব্রাজিলের উঞ্চ আবহাওয়া যথেষ্ট সমস্যা তৈরি করেছে ইংল্যান্ড ও ইতালির মতোদলগুলোর জন্য। এ আবহাওয়া লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর জন্য একটা সুবিধা বলেওমনে করেন অনেকে। তবে সাবেক ইংলিশ ফুটবলার ক্রিস ওয়াডেল এটাকেই মূল কারণহিসেবে মেনে নিতে নারাজ। মেক্সিকোয় ছিয়াশির বিশ্বকাপ খেলা এ উইঙ্গার মনেকরেন,বর্তমান দুনিয়ায় ক্রীড়াবিজ্ঞানে যে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে, সেটারবিবেচনায় কেবল আবহাওয়াকে দোষারোপ করার দিন শেষ। নিজের মেক্সিকো বিশ্বকাপখেলার অভিজ্ঞতা থেকে বলেন, মেক্সিকোয় আমাদের ৩৫-৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসতাপমাত্রায় খেলতে হয়েছিলো। সে তুলনায় ব্রাজিল তো অনেক ভালো। আমি মনে করি,ব্রাজিল ইউরোপ ও আমেরিকার দেশগুলোর মধ্যে এক ধরনের ‘নেভেল প্লেয়িং ফিল্ড।’ব্রাজিলের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ইউরোপ-আমেরিকার মধ্যে শক্তির একটা ভারসাম্য এনেছে,এটা কিন্তু অস্বীকার করার কোনো উপায়ই নেই।