স্টাফ রিপোর্টার: চিকিৎসা ও শিক্ষার মতোই নিরাপদ খাদ্য গ্রহণ নাগরিকেরসাংবিধানিক অধিকার। অল্প সময়ে অধিক মুনাফা লাভের আশায় ব্যবসায়ীরা খাদ্যেবিষ মেশাচ্ছেন। ফলে মানুষ নিরাপদ খাদ্য গ্রহণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সরকারেরদায়িত্ব হচ্ছে নিরাপদ খাদ্যের প্রাপ্তি নিশ্চিত করা। গতকাল ঢাকারিপোর্টার্স ইউনিটির গোলটেবিল লাউঞ্জে আয়োজিত খাদ্যের বিষাক্ততা: বিদ্যমানআইনসমূহশীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এসব কথা বলেন। পরিবেশ বাঁচাওআন্দোলন (পবা), ডক্টরস ফর হেলথ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট (ডিএইচইএন) ওকেন্দ্রীয় খেলাঘর আসর যৌথভাবে এ গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে। বৈঠকের শুরুতেখাদ্যের বিষাক্ততা প্রতিরোধে বিদ্যমান আইনগুলোর ওপর প্রতিবেদন উপস্থাপনকরেন কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসরের সম্পাদক লাভলী চৌধুরী। পবা’র সম্পাদক সৈয়দমাহবুবুল আলমের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, খাদ্য নিরাপত্তা ও মান রক্ষায়সরকারের ৭টি মন্ত্রণালয় জড়িত থাকলেও সমন্বয়ের অভাবে তারা সঠিকভাবে কাজ করতেপারছেন না। খাদ্যের মান রক্ষা ও বাজারমূল্য নিশ্চিত করতে বাংলাদেশে প্রায়২৩টি আইন রয়েছে। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে আদালতের নির্দেশনা রয়েছে।বিদ্যমান আইনের যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমেই খাদ্যের পূর্ববর্তী ও পরবর্তী মানরক্ষা, বাজারজাতকরণ নিশ্চিত ও মূল্য নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। তবে এ লক্ষ্যে সবমন্ত্রণালয়, অধিদপ্তরগুলোর সমন্বিত ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রয়োজন। বৈঠকেঅংশ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের সাবেক উপদেষ্টাপ্রফেসর এম মোজাহেরুল হক বলেন, খাদ্যে বিষ মেশানো নিয়ন্ত্রণের জন্য আইনেরচেয়ে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত জরুরি। স্বাস্থ্যকে রাজনৈতিক ইস্যু হিসেবে ব্যবহারকরতে হবে। অন্যান্য সাংবিধানিক অধিকারের মতো নিরাপদ খাদ্যকে সাংবিধানিকঅধিকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাষ্ট্র দায়ী ব্যক্তিদের সুযোগ না দিলে এধরনের অপরাধ করার সাহস কেউ পাবে না।