মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গার জেহালা ইউনিয়নের ছোটপুটিমারী গ্রামে নিজ ঘরের বৈদ্যুতিক পাখার কাজ করতে গিয়ে এক সন্তানের জনক আলামিনের করুণ মৃত্যু ঘটেছে। আলামিনের ৭ মাসের শিশুপুত্র পিতার আদর বুঝে ওঠার আগেই হারালো তার পিতাকে। গ্রাম জুড়ে চলছে শোকের মাতম। গতকাল শুক্রবার বাদ মাগরিব মরহুমের জানাজা শেষে গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
গ্রাম সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার বেলা দেড়টার দিকে আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জ ছোটপুটিমারী গ্রামের খন্দকার বাবুর ছেলে আলামিন (২৫) নিজ ঘরের বৈদ্যুতিক পাখা নষ্ট হলে তা ঠিক করছিলো। বিদ্যুত লাইন বন্ধ করেছিলো। বৈদ্যুতিক পাখা মেরামত শেষে স্ত্রী শিউলি সুইজ দিতে বললে পাখা না ঘোরায় আলামিন আবারো বিদ্যুত থাকাকালীন ফ্যানের তারে হাত দেয়। এ সময় সে বিদ্যুত স্পৃষ্ট হয়ে ঘরের মধ্যে আছড়ে পড়ে। স্ত্রীর চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে তাকে দ্রুত উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়। এ সময় কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বেলা আড়াইটার সময় লাশ ছোটপুটিমারী পৌঁছুলে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। আলামিনের মা-বাবা, স্ত্রী ও নিকট আত্মীয়দের আহাজারিতে এলাকার বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম স্বামীকে হারিয়ে পাগলের প্রলাপ বকতে থাকে স্ত্রী শিউলি।
পারিবারিক সূত্রে জানায়, গতকাল সকালে আলামিন গড়চাপড়া গ্রামে এক ব্যক্তির বাড়িতে কামলা খেটে দুপুরে বাড়ি আসে। রাতে বৈদ্যুতিক পাখা নষ্ট হলে দুপুরে নষ্ট পাখা মেরামত করতে গিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আলামিন ৪ ভাই-বোনের মধ্যে সবার ছোট। পেশায় ক্ষুদ্র কৃষক। গত ৩ বছর আগে গ্রামের আবত আলীর মেয়ে শিউলির সাথে বিয়ে করে। গত ৭ মাস আগে একটি ফুটফুটে পুত্রসন্তান আসে তাদের কোল জুড়ে। আদর করে নাম রাখা হয় তানমিন। সে তার বাবার আদর বোঝার আগেই পিতাকে হারালো। গতকাল শুক্রবার সন্ধায় ছোটপুটিমারী গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে জানাজা শেষে লাশের দাফন কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।