স্টাফ রিপোর্টার: জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের স্লোগান ‘দুটি সন্তানের বেশিনয়, একটি হলে ভালো হয়’ বাদ দিয়ে প্রতিটি পরিবারকে দুটি করে সন্তান নেয়ারপক্ষে মত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, জনসংখ্যানিয়ন্ত্রণের একটি স্লোগান বাদ দিতে চাই। স্লোগানের শেষের অংশটুকু বাদ দিয়েআপনারা প্রচেষ্টা চালান। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় গতিশীল করার অংশ হিসেবে গতকালস্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে পরিদর্শনে গিয়ে মন্ত্রণালয়টিরকর্মকর্তাদের উদ্দেশে দেয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। পৃথিবীরউন্নত দেশগুলোর প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যারাজনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে এ স্লোগান নিয়ে এগিয়েছে, তারাই বৃদ্ধের রাষ্ট্রে পরিণতহয়েছে। কিছুদিন আগে আমি দুটি দেশ ঘুরে এসেছি। সেখানেও একই অবস্থা। সারাবিশ্বে তরুণ সমাজের অভাব দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশের তরুণদের সারা বিশ্বেরজন্য ‘ওয়ার্কিং ফোর্স’ হিসেবে মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, অনেকেবাংলাদেশের বেশি জনগণকে বার্ডেন মনে করেন। কিন্তু আমি সেটা মনে করি না। এসবজনগণকে প্রশিক্ষিত করে সম্পদে পরিণত করতে হবে। বর্তমানে বাংলাদেশেজনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৩৭ শতাংশ। তিনি বলেন, আমাদের সরকারমানসম্পন্ন শিক্ষা ও চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতে দেশের প্রত্যেকবিভাগে একটি করে চিকিৎসা বিদ্যালয় স্থাপন করবে। দেশে বর্তমানে ঢাকায় একটিমাত্র চিকিৎসা বিদ্যালয় রয়েছে, যা আওয়ামী লীগ সরকারের ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদেস্থাপিত হয়। প্রাথমিকভাবে এ ধরনের বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতেস্থাপন করা প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি চিন্তা করে দেখেছি যে, প্রত্যেক বিভাগে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রয়োজন রয়েছে। এ ছাড়ামানসম্পন্ন শিক্ষা ও চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ নিশ্চিত হবে না। আমরা এ ধরনেরব্যবস্থা করবো ইনশাআল্লাহ। তিনি বলেন, কর্মস্থলে নির্দিষ্ট সময়ে উপস্থিত নাথাকলে আপনাদের চাকরি স্থায়ী হবে না এবং পদোন্নতিও পাবেন না। এ ছাড়া চাকরিহারানোর ভয়ও রয়েছে। তিনি বলেন, মনে রাখতে হবে যে আপনাদের পেছনে প্রচুরঅর্থ ব্যয় হয় এবং এ অর্থ কৃষক ও খেটে খাওয়া মানুষের টাকা থেকে আসে। এজন্যআপনাদের কর্মস্থলে থেকে অবশ্যই জনগণের সেবা দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রীরবক্তব্যের সময় অন্যান্যের মধ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবদুসসোবহান সিকদার, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. আবুল কালাম আজাদ, স্বাস্থ্যসচিব এমএন নিয়াজউদ্দিন, প্রেস সচিব একেএম শামীম চৌধুরী এবংস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থাগুলোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিতছিলেন।