ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে জীবননগরের কলাব্যবসায়ী নিহত

 

 

 

স্টাফ রিপোর্টার: জীবননগরের মুক্তারপুর গ্রামের কলাব্যবসায়ী আব্দুল খালেক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। কলাবোঝাই আলমসাধু উল্টে ট্রাকের নিচে পড়লে তার মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। গতকাল দুপুরে চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গা সড়কের চন্দ্রাবতী ইঁদারার সন্নিকটে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ট্রাকের ড্রাইভার ও হেলপার ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গেলেও ঘাতক ট্রাক ও দুর্ঘটনা কবলিত আলমসাধুটি আটক করেছে পুলিশ। নিহত খালেকের লাশ উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালমর্গে নেয়া হয়।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার বাঁকা ইউনিয়নের মুক্তারপুর গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে আব্দুল খালেক (৪৫) কলাব্যবসায়ী। তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার কলা কিনতে যান আলমডাঙ্গা উপজেলার গ্রাম এলাকায়। দুপুরে কলা কিনে আলমসাধু বোঝাই করে জীবননগরের উদ্দেশে ফিরছিলেন। তিনি বসেছিলেন কলাবোঝাই আলমসাধুর ওপরে। সাথে ছিলেন তার আরও দুজন ব্যবসায়িক পার্টনার। বেলা ৩টার দিকে আলমসাধুটি চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গা সড়কের হাজরাহাটি-বোয়ালমারীর মাঠের চন্দ্রাবতী ইঁদারার কাছে পৌঁছায়। এ সময় পানবোঝাই একটি ট্রাক (খুলনা মেট্রো-ট:১১-০৪৯২) আলমডাঙ্গার দিকে যাচ্ছিলো। ট্রাকটি আলমসাধুর কাছাকাছি পৌঁছুলে আলমসাধুর চাকা পাংচার হয়ে রাস্তার ওপর উল্টে পড়ে। এ সময় ট্রাকের চালক নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় ট্রাকের চাকা কলাব্যবসায়ী আব্দুল খালেকের মাথার ওপর উঠে পড়ে। ফলে ঘটনাস্থলেই খালেক মারা যান। সেখানেই ট্রাক রেখে চালক ও হেলপার পালিয়ে যান। ঘটনার পরপরই খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়ে দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাক ও আলমসাধুটি আটক করে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় নিয়ে আসে। এ সময় চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গা সড়কে প্রায় এক ঘণ্টা যানজটের সৃষ্টি হয়।

সূত্র জানায়, আটক ট্রাক ও আলমসাধুটি কয়েক ঘণ্টা পর ছেড়ে দেয় পুলিশ। লাশ উদ্ধার করে চুয়াডঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে নেয়া হলেও দু পক্ষের মধ্যে আপস-মীমাংসার কারণে রাত ৮টার দিকে নিহত খালেকের স্ত্রী মাহফুজা তার লাশ নিয়ে যান নিজ গ্রামে। এ ব্যাপারে সদর থানার এসআই পান্নু জানান, এ ঘটনায় কেউ মামলা করেনি।