জীবননগর উপজেলায় চুরি ডাকাতি চাঁদাবাজি : প্রতিরোধে রাতে জেগে গ্রাম পাহারা

 

 

জীবননগর ব্যুরো: জীবননগর উপজেলায় চুরি, ডাকাতি ও চাঁদাবাজি আশঙ্কাজনকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ইটভাটা মালিকসহ ব্যবসায়ীদের নিকট মোবাইলে চাঁদা দাবিসহ উপজেলার হাসাদাহ ও রায়পুর ইউনিয়নে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজরা অস্ত্র উঁচিয়ে চাঁদা আদায় করছে।

গত কয়েকদিনের ব্যবধানে উপজেলার বাঁকা, হাসাদাহ, তারানিবাস, করিমপুর, বালিহুদা, মাধবপুরসহ জীবননগর ফিলিংস্টেশনে বোমা ফাটিয়ে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এছাড়াও প্রায় প্রতিদিনই উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ডাকাতি সংঘটিত হওয়ার গুজব ছড়িয়ে এ উপজেলাবাসীকে ভীতসন্ত্রস্ত করে তোলা হচ্ছে। এ অবস্থায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে ডাকাতদলের নেতাসহ সন্দেহভাজন ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে। কিন্তু তারপরও ডাকাত আতঙ্ক না কাটায় উপজেলাজুড়ে ডাকাত ও চাঁদাবাজি রুখতে ভিলেজ ডিফেন্স পার্টি গঠন করা হয়েছে। গ্রামবাসীদের নিয়ে গঠিত এ পার্টি ডাকাত ও চাঁদাবাজ প্রতিরোধে গ্রামের প্রবেশ ও বাহির মুখসহ স্পর্শকাতর স্থানে রাতভর পাহারা দিচ্ছেন। সন্ধ্যা নামলেই হাতে লাঠি ও মুখে বাঁশি নিয়ে গ্রাম পাহারা দিতে বেরিয়ে পড়ছেন এ দলের সদস্যরা।

উপজেলায় বকুণ্ডিয়া গ্রামের আলিমুদ্দিন বিশ্বাস জানান, গত মাসে পার্শ্ববর্তী বাঁকা গ্রামে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক জান মোহাম্মদরে বাড়িতে ডাকাতদল হানা দেয়। এসময় তারা অস্ত্রের মুখে পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে নগদ অর্থ, সোনার অলঙ্কার ও মোবাইলফোন লুট করে নির্বিঘ্নেপালিয়ে যায়। এ ঘটনার পর তারা গ্রামবাসীদের নিয়ে রাত পাহারা দিচ্ছেন। প্রতিদিন রাত নামলেই ১৪-১৫ জনের সমন্বয়ে গঠিত ভিলেজ ডিফেন্স পার্টির সদস্যরা ভাগ হয়ে হাতে লাঠি ও বাঁশি নিয়ে গ্রাম পাহারায় বেরিয়ে পড়েন। রাত পাহারা শুরু করার পর তাদের গ্রামে আর ডাকাতদল হানা দেয়নি বলে তিনি জানান। একই অবস্থা উপজেলার ১০৯টি গ্রামজুড়ে বিরাজমান বলে খবর পাওয়া গেছে।

থানার ওসি এসএম ইকবাল আহমেদ ঘটনার কথা স্বীকার করে বলেন, পুলিশ ইতোমধ্যে বাঁকা গ্রামে ও জীবননগর ফিলিং স্টেশনে ডাকাতির ঘটনার সাথে জড়িত দলনেতাসহ ডাকাতদলের ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা ডাকাতির কথা স্বীকার করেছে। এদের মধ্যে দুজনকে রিমান্ডে নেয়ার জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে। এছাড়াও ডাকাতি ও চাঁদাবাজি প্রতিরোধে প্রতি রাতেই পুলিশের বিশেষ বাহিনী নিয়োমিত টহল দিয়ে যাচ্ছে। পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণে বলে তিনি জানান।