ঝিনাইদহ অফিস: গত শতকের আশি ও নব্বই দশকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের শীর্ষ চরমপন্থি কমান্ডার সিরাজুল ইসলাম ওরফে সিরাজ কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। গতসোমবার সন্ধ্যায় ঝিনাইদহ কারাগার থেকে তিনি ছাড়া পেলেও কর্তৃপক্ষ তা গোপন রাখে। গতকালমঙ্গলবার সন্ধ্যায় খবরটি জানাজানি হয়।
ঝিনাইদহ জেল সুপার মো. ইকবাল হোসেন জানান, আদালতের আদেশে গত সোমবার সন্ধ্যা ৬টার পর তাকে জেল থেকে মুক্তি দেয়া হয়। মুক্তির আগ পর্যন্ত ১৬ বছর তিনি কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, যশোর, ঝিনাইদহ ও রাজশাহী কারাগারে আটক ছিলেন।কুষ্টিয়া পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক তাজুল ইসলাম জানান, সিরাজুল ইসলামের বাড়ি কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার আমবাড়িয়া গ্রামে। ১৯৯৯ সালে সিরাজ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন। এসব মামলায় সাক্ষ্য প্রমাণের অভাবে বিচারে তিনি খালাস পান। ঝিনাইদহ জজ আদালত পরিদর্শক আশরাফুল বারি বলেন, কয়েকবছর আগে সিরাজের কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু ওই অবস্থায় তার স্ত্রী তার বিরুদ্ধে ঝিনাইদহ আদালতে যৌতুকের দুটি মামলা করেন।যার কারণে তিনি বের হতে পারেননি।ঝিনাইদহ জজ আদালতের পিপি অ্যাড. ইসমাইল হোসেন জানান, সম্প্রতি ওই মামলার বাদিনী সিরাজের স্ত্রী এ দুটি মামলা প্রত্যাহার করে নিলে কারাগার থেকে তার বের হওয়ায় আর কোনো বাধা থাকেনি।
কুষ্টিয়া পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক তাজুল ইসলাম আরো জানান, দেশ স্বাধীনের পর তিনি জাসদে যোগ দেন। জাসদ গোপন সংগঠন গণবাহিনী গঠন করলে সিরাজ গণবাহিনীতে যোগ দেন। ক্রমে তিনি গণবাহিনীর আঞ্চলিক কমান্ডার হন। এক সময় সিরাজের কুখ্যাতি সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। জাসদ গণবাহিনী বিলুপ্ত করলেও তিনি এলাকায় গণবাহিনীর তৎপরতা অব্যাহত রাখেন। তার বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া ও চুয়াডাঙ্গা জেলায় বেশ কয়েকটি হত্যা মামলাসহ ১৮টি মামলা ছিলো।