আলমডাঙ্গা ব্যুরো: কিছুতেই যেন দুর্ভাগ্য পিছু ছাড়তে চাচ্ছে না আলমডাঙ্গার বড় গাংনী গ্রামের বীণা খাতুনের।দুর্ভাগ্যবশতঃ পরপর দুটি বিয়ে হলেও একটি স্বামীর সাথেও তার সংসার টেকসই হয়নি।অবশেষে ঢাকায় চাকরি করতে গিয়ে বিবাহিত এক যুবককের সাথে পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে তুলে বিয়ে করতে বাড়ি এলেও সে বিয়েতে বাধ সেধেছে গ্রামের বেরসিক বেকুব। বিকেলে বীণা খাতুনের বাড়ি থেকে দুজনকে ধরে না পেরে তারা পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে।
জানা গেছে,আলমডাঙ্গা উপজেলার বড় গাংনী গ্রামের বজলুর রহমানের মেয়ে বীণা খাতুনের (২৫) পূর্বের দুটি বিয়ে টেকেনি। অনেক অত্যাচার আর অপমানের পরও হতদরিদ্র পরিবারের মেয়ে বীণা স্বামীর ভিটে কামড়েই থাকতে চেয়েছিলো।কিন্তু অমানুষ স্বামীর অকথ্য নির্যাতন বেড়েই চলছিলো। তারপরও প্রাণ থাকা অবধি স্বামীর সংসারে টিকে থাকার পণ করেছিলো। কিন্তু এবারও বিধি মুখ ফিরিয়ে নিলো। একরাতে স্বামী আলমডাঙ্গার বাজারে গিয়ে আর ফিরে এলো না। তাকে ফেলে পালিয়ে বাঁচে। অগত্যা এক দিন স্বামীর ভিটে ছেড়ে দু বারের মতো বীণা খাতুন বাপের বাড়ি ফেরে।দীনহীন বাপের অভাবি সংসারে সে আরেক বোঝা।কয়দিন চলে এভাবে।কাজের সন্ধ্যান করতে করতে একদিন কাজের সন্ধ্যানও মেলে। গত ৭ মাস আগে ঢাকায় গার্মেন্টেসে চাকরি করতে যায়। সেখানে একসময় তার সাথে ঝালকাঠি জেলার রাজাপুরে উপজেলার আংগাড়িয়া গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে দেলোয়ার হোসেনের (৩০) সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর তারা বিভিন্ন জায়গায় স্বামী-স্ত্রী হিসেবে চলাফেরা করতো।অনেক কষ্ট করে বীণাকে বিয়েতে রাজিও করাই।এরই এক পর্যায়ে গত পরশু রোববার তারা বীণার বাড়ি গাংনী গ্রামে আসে বিয়ে করতে। গতকাল সোমবার দুজনকে একত্রে গ্রামের বেরসিক জনতা আটক করে সালিসসভার আয়োজন করে।সালিসে বসিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে।এ সংবাদ জেনে যায় আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ।পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে। থানায় জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, বীণা খাতুনের বর্তমান পরকীয়া প্রেমিক দেলোয়ারের স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে।
উল্লেখ্য, বীনা খাতুনের ১ম বিয়ে হয়েছিলো অসুস্থ এক ব্যক্তির সাথে। বিয়ের কয়েক মাস পর স্বামী সুস্থ হলে স্ত্রী বীণা খাতুনকে সে অকৃতজ্ঞ তালাক দেয়। জীবিকার অন্বেষনে ঢাকায় গামেন্টেসে চাকরি করতে গিয়ে সে বিবাহিত যুবকের সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে বিপাকে। পুলিশ জানিয়েছে, প্রেমিক দেলোয়ারের আরেকটি স্ত্রী থাকায় তাদের বিয়ে দেয়া সম্ভব হচ্ছেনা। আপাতত তাদের ঠিকানা হচ্ছে জেল।