স্টাফ রিপোর্টার: ইরান-নাইজেরিয়া ম্যাচের মধ্য দিয়ে এবারের বিশ্বকাপের প্রথম গোলশূন্যম্যাচটি হয়ে গেলো। ম্যাচের প্রধমার্ধের মতো দ্বিতীয়ার্ধেও গোলের দেখা পায়নিকোনো দল।খেলার শুরু থেকেই রক্ষণাত্মকভাবে খেলতে থাকে দুদলই। তবেপ্রথমার্ধের শেষ দিকে অনেকটা আক্রমণে যেতে শুরু করে সুপার ঈগলরা। যদিও শেষপর্যন্ত তা সফল হয়নি। অন্যদিকে, বিচ্ছিন্নভাবে কয়েকটি আক্রমণ করেও ব্যর্থহয় ইরান।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই ইরানকে অনেকটা চেপে ধরে নাইজেরিয়া।তাতেও কোনো সাফল্য না আসলে ৫২ মিনিটের মাথায় ভিক্টর মুসেসকে উঠিয়ে বদলিখেলোয়াড় হিসেবে ফরোয়ার্ড শোলো অ্যামিওবিকে মাঠে নামান কোচ স্টিফেন কোশি। ৭০মিনিটে হেড থেকে অল্পের জন্য গোল বঞ্চিত হন অ্যামিওবি।খেলার ৩৪মিনিটের মাথায় ইরানের একটি আক্রমণ দৃঢ়তার সাথে ফিরিয়ে দেন নাইজেরিয়ানগোলরক্ষক এনিয়েমা। যা ম্যাচে ইরানের এগিয়ে যাওয়ার জন্য ছিলো সবচেয়ে বড়সুযোগ।এর আগে ৬৯ মিনিটে আরও একটি পরিবর্তন আনে নাইজেরিয়া। র্যামন আজিজকে উঠিয়ে নামানো হয় পিটার ওডেমউঙ্গিকে।৭৫মিনিটের মাথায় ম্যাচের প্রথম হলুদ কার্ড পান ইরানের আন্দ্রানিক। এছাড়া ৭৮মিনিটের মাথায় ইরানের আশকান দেজাঘকে উঠিয়ে আলিরেজা জাহানবক্সকে নামানো হয়।এশিয়ারসেরা ফুটবল দল হয়ে এবারের বিশ্বকাপে স্থান পায় ইরান। যদিও ২০১০ বিশ্বকাপেস্থান হয়নি ইরানের। আর ‘সুপার ঈগল’ খ্যাত নাইজেরিয়া ২০১০ সালের বিশ্বকাপেপ্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় নেয়।বিশ্বকাপে ইরানের অর্জন বলতে ১৯৭৮, ১৯৯৮এবং ২০০৬ এর বিশ্বকাপে প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায়। তবে দলটির সেন্ট্রালডিফেন্সিভ জুটি বেশ মজবুত। কোচ কার্লোস কুইরোজ দলে ট্যাকটিক্যাল শৃঙ্খলাএনেছেন।অন্যদিকে, ১৯৯৪ ও ১৯৯৮ বিশ্বকাপে দ্বিতীয় রাউন্ড এবং ২০০২ ও২০১০ সালে প্রথম রাউন্ড পর্যন্ত নিজেদের টেনে নিতে সক্ষম হন নাইজেরিয়ানখেলোয়াড়রা। আক্রমণাত্মক ফুটবলের কারণে নাইজেরিয়ার ফুটবল দৃষ্টিনন্দন। আবারপ্রয়োজনে দলটি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হতে পারে তারও নজির রয়েছে।