দামুড়হুদা চারুলিয়ার গৃহবধূ সুমাইয়ার বসতঘরের আড়া থেকে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

 

 

পিতার অভিযোগ তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদায় সুমাইয়া নামের এক গৃহবধূর রহস্যজনকভাবে নিহত হয়েছে। নিহত গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়েছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার তার লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছে নিহত গৃহবধূর পিতার পরিবারের লোকজন। এ বিষয়ে নিহতের চাচা মুনতাজ আলী বাদী হয়ে দামুড়হুদা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। গতকাল সোমবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত সুমাইয়া(১৯) দামুড়হুদা দশমীপাড়ার ছাত্তার ড্রাইভারের মেয়ে এবং চারুলিয়া গ্রামের মিঠুনের স্ত্রী।নিহতের পরিবারের লোকজন জানান, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার চারুলিয়া গ্রামের ওমিদুলের ছেলে মিঠুনের সাথে দামুড়হুদা দশমীপাড়ার (বর্তমানে জয়রামপুর নতুনপাড়ার বাসিন্দা) ছাত্তার ড্রাইভারের মেয়ে সুমাইয়া ওরফে সুম্মার মাত্র ৬ মাস আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুকলোভী স্বামী মিঠুন ও তার পরিবারের লোকজন যৌতুকের টাকার জন্য গৃহবধূর ওপর নির্যাতন চালিয়ে আসছিলো। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে পিতা বিয়ের পর থেকে কয়েক দফায় জামাই মিঠুনের হাতে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেন। তাতেও থেমে থাকেনি ওই গৃহবধূর ওপর নির্যাতন। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল সোমবার সকালে যৌতুকলোভী স্বামী মিঠুন ও তার পরিবারের লোকজন যৌতুকের টাকা আনতে চাপ সৃষ্টি করে। সুমাইয়া টাকা আনতে অপারগতা প্রকাশ করলে স্বামী ও শাশুড়ি মিলে তার ওপর চালায় শারীরিক নির্যাতন। পাষণ্ড স্বামীর নির্মম নির্যাতনে গৃহবধূ সুম্মা জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। ঘটনার পর নিহত গৃহবধূর পিতার কাছে স্বামীর পরিবারের লোকজন বলে তোমার মেয়ে গলায় দঁড়ি দিয়ে মরে গেছে। নিহত গৃহবধূর পরিবারের লোকজন আরও জানান, তাকে প্রচণ্ড মারপিট করার পর পরিকল্পিতভাবে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি সিকদার মশিউর রহমান জানান, লাশ উদ্ধার করে থানায় নেয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার লাশের ময়নাতদন্ত করা হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই জানা যাবে এটা হত্যা না আত্মহত্যা।