স্টাফ রিপোর্টার:সঠিক বিচারের আসায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন জীবননগর আন্দুলবাড়িয়ার মিজানুর রহমান। গতকাল চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবে তিনি লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, আমার মেয়ে জেসমিন নাহারকে ২০০০ সালে প্রলোভন দেখিয়ে আমার অজান্তে ও ইচ্ছার বিরুদ্ধে আন্দুলবাড়িয়ার পরিবার পরিকল্পনা কল্যাণ কেন্দ্রে ডা. সুফিয়া ও তার স্বামী জামালের সহযোগিতায় তাদের ছেলে শাহীনের সাথে বিয়ে দেয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের দাবিতে জেসমিনকে বিভিন্ন সময় শারীরিক নির্যাতন করে আসছিলো। ২০০৮ সালে আমার মেয়ে জেসমিনকে আগুনে পুড়িয়ে মেরে ফেলার অপচেষ্টা করে। প্রতিবেশীরা উদ্ধার করে জীবননগর হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে মেয়েকে আমার বাড়িতে নিয়ে রাখি। জেসমিনকে নির্যাতন করবে না মর্মে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে মেয়ে নিয়ে যায়। পুনরায় আবার দু লাখ টাকা যৌতুব দাবি করে। ২০১৩ সালে ২১ ডিসেম্বর জামাই শাহীন, তার মা সুফিয়াননোদ মিনু জেসমিনকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এরপর আমার মেয়ে জেসমিন আমার বাড়িতে আশ্রয় নেয়। গত ৬ জানুয়ারি শাহীন ও সুফিয়া আমার বাড়িতে এসে জেসমিনকে মারধর করে। এ সময় আমার স্ত্রী সালেহা খাতুন বাধা দিলে শাহীনের কাছে থাকা ছুরি তার পিঠে গেঁথে দেয়। অবস্থা বেগতি দেখে আমার স্ত্রী সালেহা ও জেসমিনের গলায় থাকা সোনার চেন ছিঁড়ে পালিয়ে যায়। ঘটনার পর এ বিষয়ে থানায় মামলা করি। মামলার কোনো তৎপরতা না পেয়ে ১৩ জানুয়ারি থানা গিয়ে পূর্বে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে আবার নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করি। কিন্তু দুখের বিষয় মামলা রেকর্ড না করে আসামিদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে আমকে পুলিশ ঘুরাতে থাকে। পরে লোক মারফত জানতে পারি মামলা নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে করা হলেও তা রেকর্ড করা হয়েছে মাকদ মামলায়। আবারো ২২ জানুয়ারি নারী ও শিশু নির্যাত আইনে মামলা দায়ের করা হয়। মামলা সঠিক তদন্ত না করেই আসামিদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ফাইনাল রিপোর্ট দাখিল করা হয়েছে। এখন তারা প্রকাশ্য ঘুরে বেড়াচ্ছে। বিভিন্ন হুমকি দিয়ে আসছে। ডা. সুফিয়া নিয়মিত প্যাথেডিন গ্রহণ করে থাকেন। অবসর নিয়েও আন্দুলবাড়িয়া পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রকে নিজের সম্পদ মনে করে দৃষ্কৃতিকারীদের আখড়ায় পরিণত করেছেন। তিনি প্রতিদিন ২/৩টি অবৈধ গর্ভপাত ঘটিয়ে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেন। ডা. সুফিয়ার আরেকটি বড় আয়ের উৎস হলো তার একটি পিকআপ গাড়ি আছে যা দিয়ে কাঁচামালের সাথে ফেনসিডিল ও বিভিন্ন ধরনের অবৈধ মালামাল পাচার করে থাকেন। যা মাগুরা সদর থানায় ফেনসিডিল পাচারের দায়ে আকট আছে। তার বিরুদ্ধে যথাযথ তদন্ত করে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে দৃষ্টি কামনা করছি।