স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এবার ছাত্রশিবিরের এক নেতাকে গুলি করে ওকুপিয়ে পা থেকে গোড়ালি পর্যন্ত বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে। গুরুতরঅবস্থায় রাসেল আলম নামের শিবিরের ওই নেতাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজহাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহকলা ভবনে এ ঘটনা ঘটে।
রাসেল আলম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের চতুর্থবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি নবাব আবদুল লতিফ হল শাখা ছাত্রশিবিরের সাধারণসম্পাদক।
পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, বিকেল পৌনে ৪টার দিকেশহীদুল্লাহ কলা ভবন থেকে ছাত্রশিবিরের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার মানবসম্পদউন্নয়নবিষয়ক সম্পাদক জিয়াউদ্দিন বাবলু ওরফে হাসিবুর রহমান হাসিবকেগ্রেফতার করে মতিহার থানা পুলিশ। এর আধাঘণ্টা পর আরেক নেতার গোড়ালিকর্তনের ঘটনা ঘটে।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের প্রচার সম্পাদক লাবিবআবদুল্লাহ এ ঘটনার জন্য ছাত্রলীগকে দায়ী করেন। প্রথম আলোর কাছে তিনি দাবিকরেন, ‘আমাদের এক নেতা হাসিব পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলেন। পুলিশ তাকে আটক করেনিয়ে যায়। আরেক নেতা রাসেলকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে ছাত্রলীগ নেতারা দুপায়ে গুলি করে ও ডান পা গোড়ালি থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছেন।তবেঅভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মিজানুর রহমানরানা বলেন, এ ঘটনায় ছাত্রলীগের কোনো নেতা-কর্মী জড়িত থাকতে পারে বলেআমি বিশ্বাস করি না। এটি শিবিরের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের ফল।জানতে চাইলেরাজশাহী মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (সদর) তানভীর হায়দার চৌধুরী বলেন, পুলিশ এক শিবির নেতাকে গ্রেফতার করে থানায় রেখে ক্যাম্পাসে গিয়েগুলির শব্দ শুনতে পায়। দুর্বৃত্তরা রাসেল নামের একজনের ডান পা গোড়ালিথেকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সতর্ক রয়েছে।
এরআগে ২৯ এপ্রিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের নেতাআবদুল্লাহেল মাসুদের পায়ের পাতা বিচ্ছিন্ন করার ঘটনা ঘটে। এছাড়া তারসাথে থাকা ছাত্রলীগের অপর নেতা সালেহ মো. টগরকে কুপিয়ে জখম করা হয়। ওইঘটনায় ছাত্রলীগ শিবিরকে দায়ী করে আসছিলো।