মেহেরপুরে পাষণ্ড স্বামীর কাণ্ড : মামলার প্রস্তুতি: যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা

 

মেহেরপুর অফিস: মেহেরপুরে এক সন্তানের জননী খুন হয়েছেন। পাষণ্ড স্বামী যৌতুক চেয়ে না পেয়ে স্বজনদের সহযোগিতায় শ্বাসরোধ করে স্ত্রী ময়না খাতুনকে (৩৪) হত্যা করেছে বলে অভিযোগ তুলেছে নিহতের স্বজনরা। আজ সোমবার মেহেরপুরে মামলা হতে পারে বলে জানিয়েছেন নিহত ময়না খাতুনের পিতা ফজলুল হক বিশ্বাস।

পুলিশ ও ময়না খাতুনের পিতা ফজলুল হক বিশ্বাস জানান, প্রায় ১৫ বছর আগে মেহেরপুর শহরের বেড়পাড়ার রুহলের ছেলে সেলিমের সাথে তার মেয়ে ময়না খাতুনের দ্বিতীয় বিয়ে হয়। সংসার জীবনে তাদের ঘরে আসে এক কন্যা সন্তান। নাম রাখা হয় সানজিনা। সে এবছর ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী। বিয়ের পর থেকে ময়নার স্বামী সেলিম দীর্ঘদিন থেকে যৌতুক দাবি করে আসছে। ইতঃপূর্বে ৮০ হাজার টাকা যৌতুক হিসেবে সেলিমকে দেয়া হয়। সম্প্রতি নতুন করে ৬০ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করে আসছিলো। যৌতুকের দাবি মেটাতে না পারায় গত বৃহস্পতিবার দিনভর ময়না খাতুনের সাথে স্বামী সেলিমের বিরোধ হয়। রাতে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন ময়না খাতুনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ঘরের মধ্যে ফেলে রেখে বাড়ির সবাই পালিয়ে যায়। পরদিন শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে বিদ্যুত বিভাগের এক কর্মচারী বাড়ি গিয়ে বিদ্যুত বিল দিতে ডাকাডাকি শুরু করেন। সাড়া না পেয়ে তিনি প্রতিবেশীদের খবর দেন। প্রতিবেশিরা ছুটে এসে ঘরের মধ্যে ময়নার লাশ দেখে থানায় খবর দেন।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত ময়নার মৃতদেহ উদ্ধার করে। ওই দিনই তার লাশ জেনারেল হাসপাতালমর্গে পাঠান হয়। শনিবার সকালে ময়নাতদন্ত শেষে পুলিশ নিহতের লাশ তার স্বজনদের হাতে হস্তান্তর করে। ওই দিন বাদ জোহর চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার জুড়ানপুর গ্রামে নিহত ময়না খাতুনের লাশ দাফন করা হয়েছে। নিহতের একমাত্র মেয়ে সানজিনা বর্তমানে তার নানা বাড়ি জুড়ানপুরে আছে। আজ সোমবার হত্যামামলা করা বলে নিহত ময়না খাতুনের পিতা ফজলুল হক বিশ্বাস আরো জানিয়েছেন।

এদিকে মেহেরপুর সদর থানা পুলিশের এসআই ফারুক হোসেন বলেছেন, লাশের ময়না হয়েছে। থানায় কোনো মামলা না হওয়ায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে। ফরেসনিক রিপোর্ট পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতে পারে।