বদরগঞ্জপ্রতিনিধি: ভুলটিয়া স্কুলপাড়ার পল্লি চিকিৎসক সবুজ আহমেদ ৭দিন ধরে নিখোঁজ। তার পরিবারের দাবি- তাকে অপহরণ করা হয়েছে। পুলিশ বলেছে, পাওনাদারের টাকা দেয়ার ভয়ে নিজেইআত্মগোপন করে অপহরণের নাটক সাজিয়েছে। এরও অবশ্য সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি এলাকার সাধারণ মানুষ। ফলে নানামুখি গুঞ্জন দিন দিন জোরদার হচ্ছে।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের কুতুবপুর ইউনিয়নের ভুলটিয়া গ্রামের ইউনুস মালিতার ছেলে পল্লি চিকিৎসক সবুজ আহমেদ (৩০) ভুলটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী হিসেবে সম্প্রতি নিয়োগ পান। তিনি গত ৮জুন রাত সাড়ে ৯টার দিকে একই পাড়ার হিল্লাল আলিকে সাথে নিয়ে তার মোটরসাইকেলযোগে বদরগঞ্জ বাজারের উদ্দেশে রওনা হন। বাজার থেকে ফিরে মোটরসাইকেলের বৈধ কাগজপত্র নিয়ে আবারো বদরগঞ্জে যান। তার পর থেকে সবুজ আহমেদ নিখোঁজ। এদিকে সবুজ আহমেদের মা বুলবুলি নেছা ও স্ত্রী পারভীনা খাতুন বলেছেন, সবুজ সড়ক দুর্ঘটনায় জখম হয়ে যশোর মনিরামপুর কেশবপুর পৌর চুপখালি একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। সেখানে পুলিশ ও মেম্বার গিয়ে সবুজ আহমেদের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। কোনোঅপহরণচক্র দাবি করেনি মুক্তিপণের টাকা। তবে সবুজ আহমেদের পরিবারের লোকজনের কাছে গত১৩জুন মধ্যরাতে অজ্ঞাত পরিচয়ে মোবাইলফোনে বলেছে, মুক্তিপণ নয়,সবুজের লাশটি ফেরত পাঠাচ্ছি। তাছাড়া গ্রামের লোকজন বলেছে,সবুজ আহমেদের শ্যালিকার বিয়ে বিচ্ছেদ নিয়ে কুতুবপুরের জামালের সাথে বিরোধ রয়েছে। অপহরণের কয়েকদিন আগে জামালের বড় ভাই কামাল সবুজকে প্রকাশ্যে দেখে নেয়ার হুমকি দিয়েছে। অন্যদিকে গ্রামের অনেক সুদখোর ও রড সিমেন্টের দোকানের পাওনাদারের টাকা নিয়ে বিরোধের জের ধরে অপহরণের এ ঘটনা ঘটাতে পারেঅথবা তিনি নিজেও আত্মগোপন করে থাকতে পারেন বলে সদর থানা পুলিশ ধারণা করছে।