আলমডাঙ্গায় ছাত্রশিবিরের ৯ নেতাকর্মী গ্রেফতার

 

 

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: নাশকতা সৃষ্টির প্রস্তুতির অভিযোগ তুলে জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি ও উপজেলা সভাপতিসহ ৯ শিবির নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ। উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে কোরাআনশরিফ বিতরণকালে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় আলমডাঙ্গার কালিদাসপুর মসজিদ থেকে পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করেছে বলে স্থানীয়সূত্র জানিয়েছে।

জানাগেছে,আলমডাঙ্গার কালিদাসপুর জামে মসজিদে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় বেশ কিছু ছাত্রশিবির নেতা-কর্মী নাশকতা সৃষ্টির প্রস্তুতি নিচ্ছিলো। গোপনসূত্রে এ সংবাদ পেয়ে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ সেখানে অভিযান পরিচালনা করে। এ সময়উপস্থিত জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি শফিকুল আলম বকুল ও উপজেলা সভাপতি তরিকুল ইসলামসহ ছাত্রশিবিরের ৯ নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করে। ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রশিবির নেতা শফিকুল আলম বকুল আলমডাঙ্গা উপজেলার ডাউকি গ্রামের সাবু মুন্সির ছেলে। এছাড়া তরিকুল ইসলাম উপজেলার ছত্রপাড়া গ্রামের কোরবান আলির ছেলে। গ্রেফতারকৃত অন্যরা হলেন-গোবিন্দপুর গ্রামের আরমান আলির ছেলে আশরাফুল ইসলাম (২৪), ডাউকি গ্রামের ওমর আলির ছেলে নাসির উদ্দীন(২০),একই গ্রামের আলফাজ উদ্দীনের ছেলে আব্দুস সালাম(১৮), কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার বেশিনগর গ্রামের দাউদ হোসেনের ছেলে আশরাফুল (২২), ভোদুয়া গ্রামের আলফাজ উদ্দীনের ছেলে সাদ্দাম হোসেন(১৮), ছত্রপাড়ার কোরবানের ছেলে জাকির হোসেন(২০) ও একই গ্রামের তোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে মাইনুল ইসলাম(২৮)।

স্থানীয়সূত্র জানিয়েছে, ওই দিন বিকেলে শিবির কোরাআনশরিফ বিতরণের একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয় থেকে জেএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্তসহ প্রতি ক্লাসে ১ম, ২য় ও ৩য় রোলধারী শিক্ষার্থীদের মাঝে কোরাআনশরিফ বিতরণ চলছিলো। সে সময় আকস্মিকভাবে উপস্থিত হয়ে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। তাদের গ্রেফতারের পর গ্রামের মুসল্লিদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আতঙ্কিত গ্রামবাসীশবেবরাতের রাতে আর ওই মসজিদে নামাজ পড়তে যাননি বলে গ্রামের অনেকে দাবি করেছে।এদিকেশিবির নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে লিখিত বক্তব্য দিয়েছেন আলমডাঙ্গা উপজেলা জামায়াত আমির শেখ নূর মোহাম্মদ টিপু।