চুয়াডাঙ্গা বিএনপির আহ্বায়কের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত অব্যাহত

 

 

অভিযোগকারী নেতৃবৃন্দ চেয়ারপার্সনের সাক্ষাতের পাইপলাইনে

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা বিএনপির আহ্বায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপনকারী নেতৃবৃন্দ চেয়ারপার্সনের সাথে দেখা করার পাইপলাইনে রয়েছেন। অপরদিকে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। খুব শিগগিরই তদন্ত প্রতিবেদন কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের নিকট পেশ করা হবে। এরই প্রেক্ষিতে পরবর্তী নির্দেশনা দেবে কেন্দ্র।

জানা গেছ, অভিযোগের প্রেক্ষিতে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মুহা. অহিদুল ইসলাম বিশ্বাসকে কেন্দ্রীয় যুগ্মমহাসচিব সালাউদ্দীন আহমেদের বক্তব্য নিয়েছেন। অপরদিকে তদন্তের দায়িত্বপ্রাপ্ত খুলনা বিভাগীয় বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম তদন্ত অব্যাহত রেখেছেন। তিনি কয়েকদিনের মধ্যেই তদন্ত প্রতিবেদন ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের নিকট পেশ করতে পারেন। এদিকে অভিযোগ উত্থাপনকারী বিএনপি নেতৃবৃন্দ ইতোমধ্যে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের সাথে দেখা করে বিস্তারিত বলেছেন। তারা চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাতের পাইপলাইনে রয়েছেন। শবে বরাতের পর নেতৃবৃন্দ ঢাকায় ফিরেই চেয়ারপার্সনের সাথে দেখা করার সুযোগ পেতে পারেন।

একাধিকসূত্র বলেছে, সম্প্রতি চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির অন্যতম যুগ্মআহ্বায়ক ওয়াহেদুজ্জামান বুলা, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আলমডাঙ্গা পৌর মেয়র মীর মহিউদ্দীন, জীবননগর পৌর মেয়র হাজি নওয়াব আলী, লে. কর্নেল (অব.) সৈয়দ কামরুজ্জামান, দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী শাহ, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা পৌর বিএনপির সাবেক নেতা সিরাজুল ইসলাম মনি, শহিদুল ইসলাম রতন, নাজমুস সালেহীন লিটন, এসকে সাদী প্রমুখ। নেতৃবৃন্দ চুয়াডাঙ্গা বিএনপির আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর মুহা. অহিদুল ইসলাম বিশ্বাস কীভাবে জাল জালিয়াতি করেছে তার বর্ণনা তুলে ধরার পাশাপাশি স্বেচ্ছাচারিতার বিষয়টি তুলে ধরে প্রতিকার প্রার্থনা করেন। অভিযোগ উত্থাপনের পর মুহা. অহিদুল ইসলামকে ঢাকায় ডেকে নিয়ে যুগ্ম মহাসচিব সালাউদ্দীন কথা বলেছেন। যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান খানের সাথেও কথা হয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে। তবে তার সত্যতা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।

উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে চুয়াডাঙ্গায় বহুভাগে বিভক্ত হয়ে পড়া বিএনপিকে সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে ২৭ এপ্রিল আহ্বায়ক কমিটি গঠনপূর্বক অনুমোদন দেয় কেন্দ্র। ৪৫ দিনের মধ্যে থানা, পৌর, ইউনিয়ন ওয়ার্ড সম্মেলন সম্পন্ন করার মাধ্যমে জেলা সম্মেলনের নির্দেশনা দেয়। নির্ধারিত সময় ইতোমধ্যেই অতিক্রম করেছে। অপরদিকে থানা ও পৌর কমিটি গঠনে আহ্বায়ক চরম স্বেচ্ছাচারিতার পাশাপাশি তিনি মহাসচিব অনুমোদিত জেলা আহ্বায়ক কমিটির দুজনের নাম পরিবর্তন করেছেন বলে অভিযোগ উত্থাপন করেছেন আহ্বায়ক কমিটিরই এক যুগ্মআহ্বায়কসহ বেশ কিছু সদস্য। এরই প্রেক্ষিতে তদন্ত চলছে। অভিযোগকারীরা যেমন বসে নেই, তেমনই অভিযুক্ত পক্ষও সংবাদ সম্মেলনে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের ব্যাখা দিয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতার সাথে সাক্ষাত করে তাদের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেছেন।