স্টাফরিপোর্টার: ফেনসিডিলের চালান আত্মসাৎ করতে অপহরণ নাটক সাজানোর দুদিন পার হতে না হতেই আবারও চুয়াডাঙ্গা সদরের রাঙ্গিয়ারপোতা গ্রামে পূর্ববিরোধের জের ধরে ফেনসিডিল ব্যবসায়ী দুগ্রুপের মধ্যে ঘটেছে সংঘর্ষের ঘটনা। এতে উভয় পক্ষের দুজন গুরুতর আহত হয়েছে। একে অপরকে দেখেনেয়ার প্রকাশ্য হুমকি-ধামকি রেখেছে অব্যাহত। এলাকার শান্তি প্রিয় মানুষ হতাশ।
এলাকাবাসী জানায়, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের মাদকের ঘাটি নামে খ্যাত আকন্দবাড়িয়ায় মাদক সিন্ডিকেটের হোতা বজলুর রহমানের ছেলে পাপ্পু ও তার নিয়ন্ত্রিত নাজমুল, রাজ্জাক, মুফা, উজ্জ্বলসহ প্রায় ২৫/৩০ জন ফেনসিডির ব্যবসায়ীকে নিয়ন্ত্রয় করে সে। অপরদিকে ও রাঙ্গিয়ারপোতা গ্রামের মাদকসম্রাট আইনালের নেতৃত্বে রুস্তম, হাপু, ভুনদার ছেলে সবুর, শহিদসহ প্রায় অনুরুপ ফেনসিডিল ব্যবসায়ীকে নিয়ন্ত্রিত করে সে। সম্প্রতি উভয় গ্রুপের বেশকিছু ফেনসিডিলের বড় বড় চালান প্রশাসনের হাতে ধরাপড়ে এবং খোয়া যায়। ফলে দুগ্রুপের মধ্যে সন্দেহ দানাবেধে ওঠে। বিষয়টি ভাবিয়ে তোলে দুমাদকব্যবসায়ীদের। এনিয়ে বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে পাপ্পুর বিশ্বস্ত আকন্দবাড়িয়া গ্রামের হান্নানের ছেলে নাজমুল রাঙ্গিয়ারপোতা গ্রামের আইনালের নিকট জানতে চাই, কী করে ঘটছে এসব ঘটনা। এনিয়ে উভয়ের মধ্যে শুরু হয় বাগবিতণ্ডা। একপর্যায়ে রাঙ্গিয়ারপোতা গ্রামের মতির দোকানের সামনে নাজমুল ও আইনাল সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। একে অপরের বাটামের আঘাতে আহত হয় দুজনেই।
মাদক ব্যবসায়ীদের ফেনসিডিল খোয়া যাওয়া নিয়ে প্রকাশ্যে মারামারির ঘটনায় বিশ্বয় প্রকাশ করে সচেতনমহল। ফেনসিডিল যেহেতু বৈধ্য ব্যবসা না অথচ মাদকব্যবসায়ীরা তা নিয়ে বিরোধ করছে প্রকাশ্যে যা কারো জন্য কাম্য নয় ভয়ঙ্করও বটে। এ ব্যাপারে এলাকার শান্তিকামী মানুষ চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।
উল্লেখ্য, সোমবার বেগমপুর বিলপাড়ার আনুমিয়ার ছেলে আব্বাচ আলী ও আমিনদ্দিনের ছেলে ছোটবাবু ফেনসিডিলের একটি বড় চালান আত্মসাৎ করে আব্বাচ অপহরণের নাটক সাজায়।