স্টাফ রিপোর্টার: হেরোইন সেবনের সময় হাতেনাতে ধরা পড়েছে সাগর (৩০)। এটাই তার প্রথম গ্রেফতার হলেও সে বলেছে, কয়েক বছর ধরেই হেরোইন খাই। হেরোইন সেবনের কারণে তার কিডনিও বিনষ্ট হয়ে গেছে। মৃত্যুর প্রহর গুনলেও সেদিকে নজর নেই তার। নেশাখোরের কি আর সে খেয়াল থাকে? প্রশ্ন খোদ পুলিশেরই এক সদস্যের।
কী করতে? হেরোইন সেবন শিখলে কীভাবে? হেরোইনের টাকা পাও কোথায়? এসব প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে সাগর বলেছে, বাড়ি দামুড়হুদা জয়রামপুরের স্টেশনের অদূরে। বাপ মারা গেছে। মা ভিক্ষে করে। ট্রাকের হেলপার ছিলাম। ফকরে গানের আসরে আসা যাওয়ার সুবাদে গাঁজা খাওয়া শিখলাম। এরপর হেরোইন। ট্রাক থেকে নামিয়ে দিলো। দৌলতদিয়া পতিতালয়ে বিয়ে করে হেরোইন আর মদের মধ্যেই জীবনটা কাটাচ্ছিলাম। প্রথম স্ত্রী নারগিস তালাক দিলো। দ্বিতীয় স্ত্রী সুমিও তাড়িয়ে দিলো। হেরোইন খেলে কি আর কেউ রাখে? রাখেনি। তাই পথে পথে ঘুরি। চুরিচামারি করে নেশা করি। এখন (রাত সাড়ে ৮) চুয়াডাঙ্গা স্টেশন থেকে ধরে আনলো পুলিশ।
সাগরের শরীর থেকে রক্তক্ষরণ দেখে প্রশ্ন, কী হয়েছে? ওভাবে অনেকদিন ধরেই রক্ত পড়ে। কেনো? চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. ওয়াহিদ মাহমুদ রবীন বললেন, হেরোইন মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এতে লিভার, কিডনি বিকল করে। ব্রেনে বিরূপ প্রভাব ফেলে মানসিক বিকারগ্রস্ত করে দেয়। সাগরের কিডনি বিকল হওয়ার কারণেই হয়তো রক্তক্ষরণ হচ্ছে। বাঁচানো কঠিন।