বুইচিতলা গ্রামে তিন শতাধিক কৃষকেরভাগ্য উন্নয়নে রাস্তার সংস্কার কাজ শুরু

 

 

স্টাফ রিপোর্টার:চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার বুইচিতলা গ্রামের কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে ধাবার মাঠ বুকারখাল পর্যন্ত প্রায় ১ কিলোমিটার রাস্তাটি চলাচলের উপযোগী করে তুলতে কাজ শুরু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে কাজটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন কুড়ুলগাছি ইউপি চেয়ারম্যান মো. সরফরাজ উদ্দিন। ইউনিয়নের বরাদ্দকৃত কাজের বিনিময়ে টাকা (কাবিটা) প্রকল্পের আওতায় রাস্তাটির সংস্কার কাজ শুরু হয়। দীর্ঘ ৪০ বছর পর রাস্তাটি ব্যবহারের সুযোগ তৈরি হওয়ায় আনন্দ প্রকাশ করেছে গ্রামবাসীরা।

জানা গেছে, দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে থাকায় মাঠের এক হাজার বিঘা জমির ফসল মাথায় করে ঘরে তুলতে কৃষকদের নাজেহাল হতে হয়। ফলেআর্থিকভাবে কৃষকরা ক্ষতির সম্মুখিন হন।মাঠ থেকে গাড়ি করে ফসল ঘরে তুলতে রাস্তাটি অবিলম্বে চালু করার দাবি করা হয়। স্থানীয় ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবুল কালাম আজাদ রিপনের উদ্যোগে কাজটির প্রাথমিক কার্যক্রম বেশকিছুদিন ধরে চলে আসছিলো। অতি সম্প্রতি কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের বরাদ্দকৃত কাজের বিনিময়ে টাকা (কাবিটা) প্রকল্পে রাস্তাটি প্রকল্পভুক্ত হয়। প্রকল্প অনুমোদনের পর রাস্তাটির সংস্কার কাজ শুরু হলো।

কাজটি শুরু হওয়ায় গ্রামবাসীরা কুড়ুলগাছি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সরফরাজ উদ্দিনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ও ধন্যবাদ জানিয়েছেন। উদ্বোধনকালে ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার খলিলুর রহমান, সংরক্ষিত সদস্য ফাহিমা খাতুন, প্রকল্পের সদস্য মিকাঈল হোসেন, মোকছেদ আলী, জামিনুর খাঁ ও আইনুদ্দিনসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা এসময় উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে মাঠপাড়া মসজিদের ইমাম হাফেজ মো. শফিউল্লাহ দোয়া পরিচালনা করেন।

উল্লেখ্য,দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের বুইচিতলা গ্রামের কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে ধাবার মাঠ বুকারখাল পর্যন্ত রাস্তাটি প্রায় ১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এবং চওড়া ৩০ ফুট। এ মাঠটিতে বুইচিতলা ও হরিশচন্দ্রপুর গ্রামের তিন শতাধিক কৃষক পরিবারের ১ হাজার বিঘা জমি রয়েছে। প্রতি ইরি-বোরো মরসুমে ধান, পাট, গম, ভুট্টা, পেঁয়াজ, আলুসহ বিভিন্ন খাদ্যশষ্য উৎপাদন করে থাকেন কৃষকরা। কিন্তফসল পাঁকার পর মাঠ থেকে তুলে বাড়ি আনতে কৃষকদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। অথচএ মাঠেই প্রতিবছর দেশের খাদ্য উৎপাদনে একটি বড় অংশ যোগান দিয়ে চলেছে। এ মাঠ থেকে প্রতি বছর অনন্ত ৫ কোটি টাকার খাদ্যশষ্য জেলার খাদ্য শষ্য ভাণ্ডারে জমা হচ্ছে।