ঝিনাইদহে মনোহরীব্যবসায়ী আ. লীগ কর্মীকে কুপিয়ে ও গুলি করে খুন :আহত ১

 

ফুরসন্দি ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এলাকার তিনটি গ্রুপের বিরোধ তুঙ্গে : হামলা পাল্টা হামলা লেগেই আছে

 

শাহনেওয়াজ খান সুমন:ঝিনাইদহে সিরাজুল ইসলাম রিন্টু মুন্সী নামে এক মনোহরীব্যবসায়ীকে কুপিয়ে ও গুলি করে খুন করেছে সন্ত্রাসীরা। গতকালমঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সদর উপজেলার কুশোবাড়ীয়া বাজারের কাটাখালী ব্রিজের নিকট তাকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়। তাকে খুনের সময় আবদুল মজিদ নামে আরও একজন আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিকে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত রিন্টু (৪২) সদর উপজেলার মাড়ুন্দি গ্রামের কাঠি মুন্সির ছেলে। তিনি আওয়ামী লীগ কর্মী ছিলেন।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, রিন্টু মুন্সী ফুরসন্দি ইউনিয়নের কুশোবাড়ীয়া বাজারে মনোহরী দ্রব্যের ব্যবসা করতেন। রাতে বাজারের আরেক ব্যবসায়ী আব্দুল মজিদকে সাথে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে বাজার সংলগ্ন কাটাখালী ব্রিজের নিকট পৌঁছুলে ওত পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্মকভাবে আহত হয়ে মোটরসাইকেল থেকে পড়ে যান রিন্টু মুন্সী। পরে সন্ত্রাসীরা তাদের দুজনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা রিন্টুকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে তিনি মারা যান। আহত অপর ব্যবসায়ী আবদুল মজিদকে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির জেলা সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক দাবি করেন, নিহত রিন্টু মুন্সী ও আহত মজিদ স্থানীয় আওয়ামীলীগ কর্মী ছিলেন। প্রতিপক্ষরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে।হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতার দাবি করেন তিনি। তবে কারা কেনো এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে সে ব্যাপারে পুলিশ কিছুই জানাতে পারেনি। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঝিনাইদহ সদর থানার এসআই সালাহ উদ্দীন আহমেদ জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন।

প্রসঙ্গত, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ফুরসন্দি ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এলাকার তিনটি গ্রুপের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এতে প্রায়ই খুন-জখমের ঘটনা ঘটছে।