ফুটবলের জন্ম ইংল্যান্ডে ঘর ব্রাজিলে

মাথাভাঙ্গা মনিটর: বিশ্বকাপের বাঁশি যেন হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালার হাতে। বাঁশির সুরে সুরেতার পিছু পিছু ছুটছে সারা দুনিয়া। গন্তব্য একটাইব্রাজিল। সারা দুনিয়াযখন বিশ্বকাপের বাঁশির সুরে নেচে উঠছে,তখনই আয়োজক দেশ ব্রাজিলেরনাগরিকেরা কী ভাবছেন ফুটবল বিশ্বকাপ নিয়ে?৬৪ বছর পর আবারও বিশ্বকাপেরআয়োজনকে অনেক ব্রাজিলীয়ই নাকি দেখছেন বিশ্বকাপের ঘরে ফেরাহিসেবে!এভাবনাই ফুটে উঠেছে দেশটির প্রেসিডেন্ট দিলমা রৌসেফের কথাতেও। তিনি বলছেন, ফুটবলের জন্ম ইংল্যান্ডে এটা সত্য,কিন্তু আমরা ব্রাজিলীয়রা ভাবতে পছন্দকরি যে,সে ব্রাজিলেই ঘর বেধেছে।বিশ্বকাপ ফুটবল ২০১৪ ঘিরে রোববার আয়োজকদেশটির প্রেসিডেন্টের একটি লেখা প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যের দ্যগার্ডিয়ান। সারা দুনিয়ার চোখ তাকিয়ে থাকবে, অন্তর পড়ে থাকবে ব্রাজিলে।ফুটবলে সেরাদের প্রতিনিধিত্বকারী ৩২টি জাতীয় দল নামবে বিশ্বকাপেরলড়াইয়ে। এই সেই আসর, যা প্রতি চার বছর পর আমাদের সবার ভেতরেরফুটবলপ্রেমীটাকে জাগিয়ে তোলে।এটাই ফুটবলের সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক উত্সব। কিন্তু একই সাথে এটাআমাদের জন্য ফুটবলকে উদযাপনেরও সময়, ফুটবলকে ধন্যবাদ পরিচ্ছন্ন খেলার আরসব মানুষের একত্রে মিলেমিশে শান্তিময় সহাবস্থানের মূল্যবোধের জন্য। এটাপিয়েরে ডি ক্যুবারতির (আধুনিক অলিম্পিক গেমসের প্রতিষ্ঠাতা) মানবিকমূল্যবোধ ফিরিয়ে আনার, শান্তির মূল্যবোধ, ঐকতান ও সহনশীলতার মূল্যবোধফিরিয়ে আনারও একটা সুযোগ। ভালোবেসে আমরা যেমন একে ‘সব কাপের কাপ’ বলে ডাকি, তেমনি এটাবর্ণবাদের বিরুদ্ধে শান্তির কাপ, সব ধরনের বৈষম্যের বিরুদ্ধে সবাইকেগ্রহণের কাপ, সহনশীলতা, সংলাপ, পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং এগিয়ে যাওয়ারওকাপ।বিশ্বকাপের আয়োজন করতে পারাটা ব্রাজিলীয়দের জন্য গর্বের। মাঠে এবংমাঠের বাইরেও আমরা ঐক্যবদ্ধ, নিবেদিত এক অসাধারণ প্রদর্শনীর জন্য। একমাসের জন্য আমাদের দেশে আসা দর্শনার্থীরা দেখতে পাবেন যে, ব্রাজিল একটাপরিণত, বিকাশমান গণতান্ত্রিক দেশ। গত ১২ বছর ধরে আমরা আয় বণ্টন, কর্মসংস্থানের মাত্রা এবং সামাজিক অংশীদারত্ব বাড়ানোর ক্ষেত্রে বিশ্বেরসবচেয়ে সফল প্রকল্পগুলোর একটিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। আমরা ব্যাপক হারেবৈষম্য কমিয়েছি, এক দশকে আমরা চার কোটি ২০ লাখ মানুষকে মধ্যবিত্তের স্তরেএবং তিন কোটি ৬০ লাখ মানুষকে চরম দারিদ্র্যের মাত্রা থেকে উঠিয়ে এনেছি।আমাদের কাছে, ফুটবল জীবনেরই উদযাপন।২০ কোটি ১০ লাখ ব্রাজিলীয়র পক্ষ থেকে আমি যুক্তরাজ্য এবং সবখানথেকে ব্রাজিলে আসা সব দর্শনার্থীকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাচ্ছি আমাদের সঙ্গেমিলে এই সব কাপের কাপউপভোগের জন্য।