স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশে ক্রিকেটের ঘরোয়া টুর্নামেন্ট বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ বা বিপিএলেস্পট ফিক্সিঙের অভিযোগে দেশি-বিদেশি তিনজন ক্রিকেটার এবং একজন ক্লাবমালিককে দোষী সাব্যস্ত করেছে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসির নির্দেশেগঠিত একটি দুর্নীতিবিরোধী ট্রাইব্যুনাল।গতকাল রোববার সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে ইমেইল দিয়ে জানানো হলো, কি কি কারণে অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করা হলো অথবা অব্যহতি দেয়া হলো।গত বছর বিপিএলের দ্বিতীয় আসর শেষ হওয়ার পর এতে স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ ক্রিকেট দুনিয়ার ব্যাপক তোলপাড় ফেলে।
এ প্রেক্ষপাটে পরে আইসিসি ব্যাপক অনুসন্ধান চালায় এবং কিছু খেলোয়াড় ও ক্লাব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রাথমিক প্রমাণ পায়।পরবর্তীকালে আইসিসির নির্দেশে ঢাকায় বিচারপতি খাদেমুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি দুর্নীতিবিরোধী ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়।ট্রাইব্যুনাল গত নভেম্বরে শুনানি শুরু হয়। অভিযুক্ত মোট ১০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।গত ফেব্রুয়ারি মাসে একটি সংক্ষিপ্ত রায়ে এদের মধ্যে ছয়জনকে অভিযোগ থেকে অব্যহতি দেয়া হয় ও চারজনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
ট্রাইব্যুনালেরপ্রধান বিচারপতি খাদেমুল ইসলাম জানান, আইন অনুযায়ী একটি রিজন জাজমেন্টবা কারণ সম্বলিত রায় দিতে হয়। এতে পুরো কারণ উল্লেখ থাকতে হয়। সেই রায়টিইআজ আমরা দিয়েছি।বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বা বিসিবি জানাচ্ছে,তারাও এ রায়ের একটি কপি ইমেইলের মাধ্যমে পেয়েছে।দোষী চার জনের মধ্যে একজন বাংলাদেশি খেলোয়াড়, দুজন বিদেশি খেলোয়াড় এবং একটি ক্লাবের একজন অংশীদারের নাম রয়েছে।বিচারপতিমি. খাদেমুল ইসলাম বলেন, দোষীদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হবে সেজন্যআগামী ১৮ জুন পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য্য করা হয়েছে।
মি. ইসলামবলছেন, ‘এ চারজনের ব্যাপারে আবার আমরা বসবো। বসে শুনবো। নিষেধাজ্ঞারবিভিন্ন মেয়াদ আছে। কমপক্ষে পাঁচ বছর থেকে শুরু করে আজীবনের নিষেধাজ্ঞা।শুনানিতেই ঠিক হবে কাকে কি ধরণের নিষেধাজ্ঞা দেয়া হবে।আইসিসিরনিয়মানুযায়ী দুর্নীতিবিরোধী ট্রাইব্যুনালে দণ্ড ঘোষণার পর এট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যানের কাছে দোষীরা আপিল আবেদন করতে পারবেন।এতে যদি তারা সন্তুষ্ট না হন তাহলে সুইজারল্যান্ডে কোর্ট অব আরবিট্রেশন ফর স্পোর্ট বা সিএএসেও তারা আবেদন করতে পারবেন।