সংবর্ধনাঅনুষ্ঠানে বিদায়ী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল আমিন

সকলের সহযোগিতা নিয়েদায়িত্ব পালন করেছি

স্টাফরিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা উপজেলা ভূমি অফিসের পক্ষ থেকে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল আমিনের বিদায় সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেল ৩টার দিকে উপজেলা ভূমি অফিস কার্যালয়ে আয়োজিত বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কাননগো মুনছুর আলম। বিদায়ী কর্মকর্তা আবুল আমিনের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড ও গুণের কথা তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা পৌর সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আতিকুল হক, সার্ভেয়ার ইকতিয়ার আহম্মেদ,মিজানুর রহমান, মাহাতাব উদ্দীন বিশ্বাস ও হাফিজুর রহমান। বেগমপুর ভূমি সহকারী কর্মকর্তা বজলুর রহমান উপস্থাপিতসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিদায়ী ও সংবর্ধিত অতিথি বলেন, চুয়াডাঙ্গায় চাকরিতে যোগদানের সময় আমার পরিবারের লোকজন বলেছিলোএখানে চাকরি না করতে। এখানকার ভয়াবহ আইনশৃঙ্খলার কথা উল্লেখ করে। কিন্তু আমার বিশ্বাস এবং আইন মেনে কাজ করার অদম্য ইচ্ছায় খুব ভালোভাবেই এ জেলায় ৩ বছর ১মাস সরকারি দায়িত্ব পালন করেছি। বড় কোনো বাধার সম্মুখিন হইনি। সকলের সহযোগিতা ও আন্তরিকতায় আমার সাধ্যমতো এলাকার উন্নয়নমূলক কাজ করেছি। বিশেষ করে বহুল প্রচারিত স্থানীয় দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকার সাহসী সংবাদ পরিবেশন আমার সাহসী কাজ করার সাহস জুগিয়েছে। বিশেষ করে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ, অবৈধভাবে বালি-মাটি উত্তোলন, খাদ্যে ভেজাল বিরোধী প্রভৃতি অভিযান পরিচালনা করতে সক্ষম হয়েছি। আসলে কাছে থাকলে ভালোবাসা বোঝা যায় না। দূরে চলে গেলে ভালোবাসার মাত্রা পরিমাপ করা যায়।চুয়াডাঙ্গার লোকজনকে আস্তে আস্তে এতো ভালোবেসে ফেলেছি এবং তারাও আমাকে এতো ভালোবেসেছে আজ যাবারকালে তা মর্মে মর্মে অনুভব করছি। বিশেষ করে সদর উপজেলার ভূমি পরিবার ও সদরের সকল দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আমাকে এক পরিবারের লোকের মতো সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে। যা ভোলার নয়। আমার নতুন কর্মস্থল মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলা। সেখানে চুয়াডাঙ্গাবাসীর খোলা আমন্ত্রণ রইলো বেড়াতে আসার জন্য। আমি আমার সাধ্যমতো আপ্যায়নের ব্যবস্থা করবো।একই সাথে তিনি বলেন, চুয়াডাঙ্গার কোনো মানুষ যদি আমার আচরণে কষ্ট পেয়ে থাকেন তা হলে আমি বিনীতভাবে করজোড়ে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আমাকে মাফ করে দেবেন। সকলে আমার ও আমার পরিবারের জন্য দোয়া করবেন।