মাথাভাঙ্গা মনিটর: বিপণনের কৌশল ও প্রচারের জাদুতে জাঙ্কফুড শিশু ওকিশোরদের কাছে প্রবল জনপ্রিয়। কিন্তু এ জাঙ্ক ফুড যে শিশু ও কিশোরদেরস্বাস্থ্যের ক্ষতি করছে সেটা মা-বাবারা জানলেও কোনো ভাবেই জাঙ্ক ফুডের আকর্ষণথেকে ছেলেমেয়েকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারছেন না। ফলে এগিয়ে এসেছে ভারতের নারীও শিশু কল্যান মন্ত্রণালয়। এ মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বে রয়েছেন মানেকাগান্ধী। জানা গেছে, নুডলস থেকে পেটেটো চিপস, ফুচকা-আলুকাবলি থেকেপিৎজা-বার্গার অথবা বাজার চলতি হরেক রকম কুড়মুড়ে ভাজাভুজি, মায় আইসক্রিমপর্যন্ত স্কুলের ত্রিসীমানা থেকে উৎখাত হতে চলেছে। শিশুদেহে সঠিক পুষ্টিবজায় রাখতে স্কুল ক্যান্টিন থেকে চিরতরে নির্বাসিত হতে চলেছে শিশুমনে পাকাঠাঁই করে নেয়া যাবতীয় জাঙ্ক ফুড। মন্ত্রীর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, স্কুলের শিশুদের পুষ্টিকর এবং নিরাপদ খাদ্য জোগানোর উদ্দেশেই নিষেধাজ্ঞাজারির পরিকল্পনা করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, কোন কোন খাবার জাঙ্ক ফুডের আওতায়পড়ে এবং তার কুফল সম্পর্কে ছাত্র-ছাত্রীদের সচেতন করার কথাও ভাবা হয়েছে।জানা গেছে, সরকারি অনুদান পাওয়া বিদ্যালয় গুলিতেও এ ব্যাপারে সতর্কতাপৌঁছুতে কেন্দ্রীয় খাদ্য ও মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রীর সাথে কথা বলবেনমানেকা গান্ধী। খাদ্য দপ্তরের অধীনে ‘ফুড সিকিউরিটি অ্যান্ড সিকিউরিটি অফইন্ডিয়া’ প্রকল্পে ইতিমধ্যেই স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদের সুষম আহারের বিষয়েপ্রচার চালাচ্ছে সরকার। স্কুল চৌহদ্দির মধ্যে জাঙ্ক ফুড ও বাজার চলতিঠান্ডা পানীয় বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনাকরছে দিল্লির হাইকোর্টও। দিল্লি শহরের স্কুলগুলির ভেতর এ ধরনেরখাদ্য-পানীয় বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা আনতে ইতিমধ্যেই আদালতে আর্জি পেশ করেছেউদয় ফাউন্ডেশন নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। তবে শুধু স্কুলের মধ্যেইনয়, বিদ্যালয়ের ৫০০ গজের ভেতরে এমন খাদ্য-পানীয়ের প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে চায়তারা। তবে আদালত স্কুলের আশেপাশে জাঙ্ক ফুড ও কার্বন যুক্ত পানীয় নিষিদ্ধঘোষণা করতে যথাযথ গাইডলাইন চেয়ে পাঠিয়েছে সরকারের কাছে।