জীবননগরে ভারতীয় ভেজাল সারে বাজার সয়লাব

 

 

স্টাফ রিপোর্টার: জীবননগর উপজেলায় ভারতীয় ভেজাল ইউরিয়া সারে বাজার সয়লাব হয়ে গেছে। উপজেলা সীমান্তের অবৈধ ঘাটগুলো দিয়ে প্রতিদিন শ শ বস্তা ভারতীয় সার আসছে। আর প্রশাসনের কয়েকটি সংস্থা এ খাত থেকে প্রতিদিন অর্ধ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, মাদকব্যবসায়ীরা বিশেষ কৌশলে সারের বস্তার ভেতর করে হাজার হাজার বোতল ফেনসিডিলও পাচার করে আনছে। গতকাল শুক্রবার সকালে উপজেলার গয়েশপুর গ্রামের আলিমের বাড়িতে বিজিবি সদস্যরা অভিযান চালিয়ে ভারতীয় ও দেশীয় ইউরিয়া সারের ৫ হাজার খালি বস্তা ও বস্তার মুখ সেলাই করার একটি যন্ত্র উদ্ধার করেছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার সীমান্ত, বাঁকা, হাসাদাহ, রায়পুর, আন্দুলবাড়িয়া, মনোহরপুর, সন্তোষপুর ও উথলী বাজারসহ প্রত্যন্ত এলাকায় এসব ভেজাল সারে ছেয়ে গেছে। কৃষকরা ভেজাল এ সার কিনে প্রতারিত হচ্ছেন এবং জমিতে ভেজাল সার প্রয়োগ করার কারণে ফসল ও সবজি উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।

সূত্র মতে, উপজেলার গয়েশপুর গ্রামের নিয়ামত আলীর ছেলে আলিম ও কটা, সাহাজেলের ছেলে সিরাজ, তরিকুল ও হেকমতের ছেলে আলা প্রতিদিন গয়েশপুর এবং নতুনপাড়া সীমান্ত দিয়ে চোরাচালানিদের মাধ্যমে ৮শথেকে ১ হাজার বস্তা সার প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ভারত থেকে নিয়ে আসছে। পরে তারা ভারতীয় বস্তা বদলে দেশীয় বস্তায় ভরে স্থানীয় বাজারে কৃষকদের কাছে এবং উপজেলা শহরের পশ্চিম বাজারের খুচরা সার বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করছে। পরে এসব খুচরা সার বিক্রেতারা ট্রাকভর্তি করে দেশের বিভিন্ন যায়গায় পাঠাচ্ছে। নিম্নমানের এ সমস্ত ভারতীয় ইউরিয়া সারের বর্তমান বাজার দর সাড়ে ৩শটাকা এবং দেশীয় ইউরিয়া সারের বর্তমান বাজার দর সাড়ে ৭শটাকা। এসব অসাধু ব্যবসায়ী সমস্ত খরচ বাদে সারের বস্তা প্রতি মুনাফা লুটছে ২৫০ টাকা করে।

সূত্রমতে উপজেলার গয়েশপুর গ্রামের বুদোর ছেলে ইস্রাফিল ও খুদে মণ্ডলের ছেলে মাসুদ প্রশাসনের নাম ভাঙিয়ে প্রতিদিন ৫০ হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকা চোরাকারবারীদের কাছ থেকে আদায় করছে। সরেজমিন ওই সীমান্ত এলাকায় গিয়ে ভারতীয় সার পাউয়ার টিলার ও বাইসাইকেলযোগে নিয়ে আসতে দেখা গেছে। এলাকার কৃষকরা জানান, এসব ভেজাল সার জমিতে প্রয়োগ করে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।