জীবননগর ব্যুরো: জীবননগর উপজেলার করিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরি কামপ্রহরী নিয়োগ নিয়ে চলছে তুঘলকি কারবার। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দুজন নেতাসহ বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির একজন প্রভাবশালী নেতা এ নিয়োগকে কেন্দ্র করে পৃথকভাবে একাধিক প্রার্থীর নিকট থেকে লাখ লাখ টাকার অর্থ বাণিজ্য করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা শিক্ষা অফিসও এ নিয়োগ বাণিজ্যের সাথে যুক্ত হয়ে নিয়োগ বিধি উপেক্ষা করে পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে উঠে-পড়েছে লেগেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগে জানা যায়, স্থানীয় পত্র-পত্রিকায় কোনো বিজ্ঞাপন না দিয়ে এবং কেন রকম প্রচার প্রচারণা ছাড়াই করিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরি কামপ্রহরী পদে গত ৬ ফেব্রুয়ারি নিয়োগ আহ্বান করা হয়। দপ্তরি কামপ্রহরী পদে ৮ জন আবেদন করেন। এর মধ্যে ৬ জনই ভুয়া। কেবলমাত্র করিমপুর গ্রামের আয়ূব আলীর ছেলে হাসান ও ইসমাইল হোসেনের ছেলে গিয়াস উদ্দিনের আবেদন সঠিক হিসেবে পাওয়া যায়। এর মধ্যে একজন প্রার্থী নিয়োগ পেতে ৬ জনের নাম দিয়ে এ ভুয়া আবেদন করেন বলে অভিযোগ। নিয়োগ বিধি অনুযায়ী ৩ জনের অংশগ্রহণের কথা থাকলেও এ নিয়োগ বিধি অবজ্ঞা করে লাখ লাখ টাকা অর্থ বাণিজ্যের মাধ্যমে পছন্দের একপ্রার্থীকে নিয়োগ দিতে উঠে পড়ে লেগেছে ওই চক্রটি। অবৈধ এ নিয়োগ বন্ধ করার জন্য গত ২১মে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর অভিযোগ দায়ের করা হলেও তিনি এ অভিযোগের কোনো তোয়াক্কা না করে নিয়োগ প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করছেন বলে অভিযোগ।