আলমডাঙ্গার গোপালনগরে যাত্রার নামে নগ্নতা ও জুয়ার আসরে পুলিশের হানা
স্টাফ রিপোর্টার: আলমডাঙ্গার গোপালনগর মাঠের মেলা ভেঙে দেয়া হয়েছে। গতরাতে থানার ওসি রফিকুল ইসলাম উপস্থিত থেকে ওই অবৈধ মেলা ভেঙে দেন। ফলে নগ্ন নৃত্য ও জুয়ার আসর থেকে পরিত্রাণ পেলো এলাকার যুবসমাজসহ সাধারণ মানুষ। তবে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কিছু অর্থলোভী মানুষ বীরদর্পে চালিয়ে যাচ্ছে আলমডাঙ্গার বলেশ্বরপুর মাঠে জ্যৈষ্ঠ মেলার নামে নগ্ন নৃত্য ও জুয়া।
এলাকাসূত্রে জানা গেছে, কয়েকদিন আগে আলমডাঙ্গার বাড়াদী ইউনিয়নের গোপালনগর মাঠে শুরু হয় অবৈধভাবে যাত্রা, নগ্ন অশ্লীল নৃত্য ও জুয়া। তবে নানা মহল থেকে নিন্দা ও অভিযোগের কারণে গতরাতে এ মেলা ভেঙে দিয়ে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ। ওসি রফিকুল ইসলাম মাথাভাঙ্গাকে জানান রাত ১১টার দিকে পুলিশ এ মেলা ভেঙে দেয়। এ দিকে একই কায়দায় বেপরোয়াভাবে চলছে বলেশ্বরপুরে যাত্রার নামে অশ্লীলতা। প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে আরম্ভ হয় জুয়া আর রাত ১২টার পর শুরু হচ্ছে যাত্রার নামে নগ্ন নৃত্য ও অশ্লীল দেহ প্রদর্শনী। যা কোনো সভ্য সামাজে চলতে পারে না। কোনো সচেতন মানুষ দেখলে চক্ষুচড়ক গাছে উঠবে। আর এই অশ্লীল নৃত্য দেখতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে উঠতি বয়সী যুবসমাজ। আর যাত্রা দেখতে আসা সাধারণ সরল-সোজা মানুষ জুয়া খেলে সর্বস্বান্ত হয়ে বাড়ি ফিরছে। সচেতন মহলের অনেকরই মন্তব্য ইদানীং দেখা যাচ্ছে মেলার নামে ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী কিছু নেতার নাম ভাঙিয়ে মেলার নামে জুয়া ও নগ্ন নৃত্য চলছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে অনুমতি নেয়া হলেও এসব অশ্লীলতার কথা এড়িয়ে যাচ্ছে তারা। তবে এই অশ্লীলতা ও জুয়াই তাদের মূল পুঁজি। কেউ কেউ বলছেন, থানা পুলিশ ও প্রশাসনের কাউকে কাউকে ম্যানেজ করেই এসব অবৈধ কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, যাত্রার নাচিয়েদের দিয়ে দিনের বেলায় দেহ ব্যবসা করানো হচ্ছে। বিষয়টি প্রশাসন খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলে সচেতন মহল আশা করে। তবে এ ব্যাপারে আলমডাঙ্গা থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, গোপালনগরের ব্যাপারে অভিযোগ ছিলো। তাই সেটা ভেঙে দেয়া হয়েছে। তবে বলেশ্বরপুরের ব্যাপারে এখনো অভিযোগ আসেনি। তাছাড়া একই রাতে দু স্থানে অভিযান চালানো সম্ভব হচ্ছে না। পরে বলেশ্বরপুরের বিষয়টিও দেখা হবে।