জীবননগর ব্যুরো: জীবননগর উপজেলা সীমান্তের অবৈধ ঘাটগুলো দিয়ে প্রতিদিন কার্বাইড দিয়ে পাকানো ভারতীয় আম আসছে। আর কয়েকটি সংস্থা এ খাত থেকে প্রতিদিন লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। বিশেষ করে পুলিশ ও বিজিবির শিথিলতার কারণে ভারত থেকে কার্বাইড মিশ্রিত এ আম আসছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, মাদকব্যবসায়ীরা বিশেষ কৌশলে আমের বস্তার ভেতর করে হাজার হাজার বোতল ফেনসিডিলও পাচার করে আনছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জীবননগর উপজেলার বিপরীতে ভারতীয় অংশে একেবারে অপরিপক্ক আম কার্বাইড দিয়ে পাকিয়ে সেগুলো সীমান্তের কয়েকটি পয়েন্টে মজুদ করে রাখা হয়। পরে সেগুলো সময় সুযোগ বুঝে নতুনপাড়া ও গয়েশপুর সীমান্ত দিয়ে পাউয়ারটিলারযোগে উপজেলা শহরের শহীদ মফিজউদ্দীন সড়কের পাশে ইসলামী ব্যাংক এলাকায় আমের আড়তগুলোতে আনা হয়। পরে এখান থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার আমব্যবসায়ীরা তাদের চাহিদা অনুযায়ী আম কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। প্রশাসনের নজরদারির অভাবে একশ্রেণির অসাধু আমব্যবসায়ী অতিরিক্ত লাভের আশায় ভারতীয় কার্বাইডযুক্ত আম বিক্রি করছেন। সরেজমিন গিয়ে প্রায় আড়তেই কার্বাইড মিশ্রিত ভারতীয় আম বিক্রি করতে দেখা গেছে।
স্থানীয় আম চাষিদের অভিযোগ, এভাবে ভারতে থেকে আম আসতে থাকলে অচিরেই জীবননগর উপজেলার আমবাগান মালিকদেরকে বড় ধরনের লোকসান গুনতে হবে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন আমব্যবসায়ী ও আড়তদার জানান, অপরিপক্ক আমের রঙ ভালো করতেই কার্বাইডসহ বিভিন্ন ধরনের কেমিকেল মেশানো হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. হাসানুজ্জামান নূপুর বলেন, কার্বাইড মিশ্রিত আম খেয়ে মানুষ নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফরিদুর রহমান (অ.দা.) জানান, আমের আড়তগুলোতে কঠোরভাবে নজরদারি করা হবে এবং আমে কার্বাইড পাওয়া গেলে বিক্রেতার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।