গাংনী প্রতিনিধি: বিয়ের প্রলোভনে এক তরুণীকে ফুঁসলে দেহভোগ করেছে সুমন হোসেন (১৮) নামের এক যুবক। তরুণী গর্ভবতী হলেও কর্ণপাত করেনি সুমন। শেষে গর্ভপাত ঘটাতে গিয়ে গ্যাঁড়াকলে পড়েছে সে। গতকাল সোমবার সকালে সদ্য ভূমিষ্ঠ সন্তানসহ তরুণীকে আটক করে পুলিশ। পরে সুমনের নামে গাংনী থানায় মামলা দায়ের করেছেন কুমারী মা ভুক্তভোগী তরুণী। এমন তথ্যই নিশ্চিত করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে মেহেরপুর গাংনী উপজেলার পুরাতন মটমুড়া গ্রামে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পুরাতন মটমুড়া গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে সুমন হোসেন গ্রামের এক তরুণীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। এক পর্যায়ে বিয়ের প্রলোভনে তরুণীকে ফুঁসলে দেহভোগ করে। বারবার বিয়ের জন্য চাপ দিলেও সুমন তা কৌশলে এড়িয়ে যায়। কিছুদিন আগে তরুণীর শারীরিক অস্বাভাবিক বৃদ্ধি চোখে পড়ে পরিবারের। জানাজানি হলে ওষুধ খাইয়ে গর্ভপাত করানোর কুটকৌশল গ্রহণ করে সুমন। গতকাল সকালে ওই তরুণী মৃত সন্তানের জন্ম দেয়। এখবর পেয়ে গাংনী থানার এসআই ইকরামুল হক সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে তরুণীকে আটক করে থানায় নেন।সাথেনেয়া হয় সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশুকে।
এসআই ইকরাম জানান, তরুণী বাদী হয়ে গাংনী থানায় সুমনকে আসামি করে মামলা করেছে।সদস্য ভূমিষ্ঠ শিশুর মরদেহ ময়নাতদন্তশেষে আজ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান তিনি। এ ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।