বেগমপুর প্রতিনিধি: সরকার স্বাস্থ্যসেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার জন্য গ্রহণ করেছে নানামুখি কর্মসূচি। তার মধ্যে চিকিৎসকদের স্বস্ব কর্মস্থলে যথাসময়ে উপস্থিত থাকা। কিন্তু কিছু চিকিৎসকের দায়িত্বে অবহেলার কারণে মুখ থুবড়ে পড়ছে সরকারি মহতি উদ্যোগের স্বাস্থ্যসেবা কর্মসূচি। ফলে কতিপয় ব্যক্তির জন্য হতদরিদ্র মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে চিকিৎসাসেবা থেকে। এমনই একজন দায়িত্বহীন চিকিৎসক চুয়াডাঙ্গা সদরের বেগমপুর ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সাব অ্যাসিসটেন্ট কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার আহসান হাবীব। কর্মস্থলে আসেন এবং যান নিজের খেয়ালখুশি মতো। যে কারণে একজন পিয়নকেই পালন করতে হয় সকল দায়িত্ব। ফলে ইউনিয়নের স্বাস্থ্যসেবা পড়ছে হুমকির মুখে।
জানাযায়, হতদরিদ্র মানুষের চিকিৎসাসেবা দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার জন্য ইউনিয়ন পর্যায়ে তৈরি করা হয় একটি করে ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র। এসব উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করবেন একজন মেডিকেল অফিসার, একজন সাব অ্যাসিসটেন্ট কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার, একজন ফার্মাসিস্ট ও একজন এমএলএসএস। তারই অংশ হিসেবে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের মধ্যস্থানে স্থাপন করা হয় ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র। এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন মেডিকেল অফিসার ও ফার্মাসিস্টের পদে আসেননি কোনো লোক। এখানে দায়িত্ব পালন করে থাকেন অ্যাসিসটেন্ট কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার আহসান হাবীব ও এমএলএসএস জহিরুল ইসলাম। আহসান হাবীব যোগদানের পর থেকে তার কর্মস্থলে আসেন এবং যান নিজের খেয়ালখুশি মতো। আবার সপ্তাহে ১-২ দিনতো আসেনই না। চুয়াডাঙ্গা অফিসে বিভিন্ন কাজের অজুহাত দেখিয়ে পিয়ন জহিরুলকে জানিয়ে মোবাইল বন্ধ রেখে দেন। ফলে দূরদূরান্ত থেকে হেঁটে আসা হতদরিদ্র মানুষগুলোকে ফিরে যেতে হয় খালি হাতে। ছোটখাটো সমস্যা হলে একমাত্র ভরসা পিয়ন জহিরুল ইসলাম। প্রায় দিনই পিয়ন জহিরুলকে পালন করতে হয় সকল দায়িত্ব। আহসান হাবীব তার নিজ এলাকা আলমডাঙ্গায় রোগী দেখার কারণে এমন ঘটনা ঘটে থাকে। চাকরির দায়িত্ব থেকে ব্যক্তিগত কাজে বেশি সময় দেন। চিকিৎসাসেবা নিতে আসা মালেক, করিম, লালমোহাম্মদ হতাশার সুরে বলেন, এসে শুনলাম ডাক্তার আসেনি। তাইভেতরে না ঢুকে বাড়ি ফিরে যাচ্ছি। এবিষয়ে পিয়ন জহিরুল ইসলাম বলেন, দেখেন আমি স্থানীয় লোক। এখানে এসে খালি হাতে কেউ ফিরে যাক তা আমি চাই না। দায়িত্বরত অ্যাসিসটেন্ট কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার আহসান হাবীব তিনি তার বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, বাড়ি দূরে হওয়ায় হয়তো এক আধদিন এমন সমস্যা হয়ে থাকে। এ ব্যাপারে দায়িত্বরত চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা স্বাস্থ্য প. প. কর্মকর্তা ডাক্তার শাহাদৎ হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আহসান হাবীবের বিষয়টি অবহিত আছি। লোকবল সংকট আমাদের, আর কিই বা করার আছে।