গাঁজা বহন ও কাছে রাখার অপরাধে দুজনের জেল-জরিমানা

 

চুয়াডাঙ্গায় স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-৪ এর মাদক মামলার রায়

 

স্টাফ রিপোর্টার: গাঁজা বহন ও কাছে রাখার অপরাধে দুজনকে দু বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে। গতকাল চুয়াডাঙ্গা স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক ইয়ারব হোসেন এ রায় প্রদান করেন। মামলার অপর এক আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালের ৯ মে রাতে দর্শনা নিমতলা বিওপি চোরাচালান প্রতিরোধে বের হয়। এ সময় ঈশ্বচন্দ্রপুর গ্রামের কাঁচা রাস্তার পাশে ফাঁদ পেতে থাকা অবস্থায় রাত ১১টার দিকে ঈশ্বরচন্দ্রপুর মাঝেরপাড়ার ফনি শেখের ছেলে শহিদুল শেখ (৪২) ও দর্শনা হঠাৎপাড়ার আতাউল্লাহ আটক করে। অপর একজন পালিয়ে যায়। এ সময় তাদের তল্লাসি করে ভারত থেকে পাচার হয়ে আসা দেড় কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। পরদিন মাদক আইনে মামলা দিয়ে দামুড়হুদা থানায় হস্তান্তর করা হয়। এ মামলায় দামুড়হুদা থানার তৎকালীন এসআই জিয়াউল হক তদন্ত শেষে ওই বছরের ৬ জুলাই তিনজনের বিরুদ্ধো আদালতে চার্জসিট দাখিল করেন। গতকাল রোববার আসামি শহিদুল শেখ ও আতাউল্লাহর আনীত অভিযোগ ১৯৭৪ সালের ২৫ বি(১)(বি) ধারায় সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় উভয়কে দু বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়। সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা ইতিমধ্যে যতোদিন হাজসবাস করেছে ততোদিন মূল কারাদণ্ডের মেয়াদ থেকে বাদ যাবে। অপর আসামি দর্শনা হঠাৎপাড়ার ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামের আকালী মণ্ডলের ছেলে বিশারত মণ্ডল ওরফে বিশার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন।