গাংনী প্রতিনিধি:জহুরা খাতুন (২৫) নামের এক সন্তানের জননীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।গতরাত ১১টার দিকে মেহেরপুর গাংনী শহরের গার্লস স্কুলপাড়ার একটি বাড়ির ফ্যানের সাথে তার লাশ ঝুলে ছিলো। তবে আত্মহত্যা নাকি হত্যাকাণ্ড তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। বিষয়টি গভীরভাবে তদন্ত করছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মেহেরপুরেরখোকসা গ্রামের জামাল উদ্দীন গ্রামীণ ব্যাংক গাংনী শাখায় ফিল্ড অফিসার হিসাবে চাকরির সুবাদে গাংনী গার্লস স্কুলপাড়ায় ভাড়াবাসায় বসবাস করে আসছেন। বাড়ির মালিকের নাম মহিবুল ইসলাম। গতরাত ১১টার দিকে ওই ঘরের ফ্যানের সাথে তার স্ত্রী জহুরা খাতুন গলায় ওড়না জড়িয়ে আত্মহত্যা করেছেন মর্মে খবর পায় পুলিশ। গাংনী থানার এএসআই আমিনুল ইসলাম সঙ্গীয় পুলিশ সদস্যদের নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। ঝুলন্ত লাশ ঘরের মেঝেতে নামিয়ে রাখে পুলিশ। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে পুলিশ জামাল উদ্দীনকে জানিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পারিবারিক কলহের জের ধরে প্রায়ই জামাল উদ্দীন ও তার স্ত্রী জহুরা খাতুনের মাঝে রাগ অভিমান দেখা দিতো। এর জের ধরে সে আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি করেছেন জামাল উদ্দীন। ঘটনার সময় পাশের কক্ষে সন্তানকে নিয়ে টিভি দেখছিলেন বলেও জানান তিনি। তবে আত্মহত্যার স্থান ও সরঞ্জাম নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন পুলিশসহ স্থানীয় লোকজন।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, যে টুলের ওপর দিয়ে জহুরা খাতুনের ফ্যানের সাথে ওড়না জড়ানোর কথা বলা হচ্ছে তা সন্দেহজনক। টুল ও ফ্যানের দূরত্ব যা তাতে জহুরার একার পক্ষে ফ্যানের নাগাল পাওয়া সম্ভব নয়। তবে প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বেশ ভালো সম্পর্ক দেখা যেতো। তাই তারা তেমন কিছুই ধারণা করতে পারছেন না। তাহলে কেনো এ আত্মহত্যা?এ প্রশ্নের জবাব মেলেনি। আত্মহত্যার আড়ালে অন্য কিছু লুকিয়ে রয়েছে কি-না তা পুলিশি তদন্তে বেরিয়ে আসবে এমন প্রত্যাশা করছেন স্থানীয়রা।