আলমডাঙ্গার গাংনী সাংগঠনিক থানাসহ চুয়াডাঙ্গার ৪ উপজেলা ও৪ পৌর বিএনপির কমিটি গঠন
স্টাফ রিপোর্টার:আলমডাঙ্গার গাংনী সাংগঠনিক থানাসহ চুয়াডাঙ্গার ৪টি উপজেলা ও ৪টি পৌর বিএনপির নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে।জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মুহা. অহিদুল ইসলাম বিশ্বাস ও ১ম যুগ্মআহ্বায়ক মাহমুদুল হাসান খান বাবু স্বাক্ষরিত প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।থানা ও পৌর বিএনপির নতুন কমিটিতে এক সময়ের একাংশের নেতৃবৃন্দই মূলপদগুলোতে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। বাদ পড়েছেন মোজাম্মেল হক ও শামসুজ্জামান দুদুর সাথে থাকা নেতৃবৃন্দ।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানা তথা সদর উপজেলা বিএনপিতে অ্যাড.এমএম শাহাজাহান মুকুল সভাপতি ও আলহাজ আব্দুল খালেক সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন।সহসভাপতি হিসেবে অবশ্য অপরাংশের অ্যাড. শামীম রেজা ডালিম স্থান করে নিয়েছেন।এ ছাড়া মো. ইলিয়াস হোসেন যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ও মো. আব্দুর রাজ্জাক সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে মনোনীত হয়েছেন। চুয়াডাঙ্গা পৌর বিএনপির কমিটিতেও একই চিত্র। মুন্সী আওরঙ্গজেব বেল্টু সভাপতি, শরিফুল ইসলাম মঙ্গল সাধারণ সম্পাদক, রাফিতুল্লা মহলদার সহসভাপতি, হাফিজুর রহমান যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ও শফিকুল ইসলাম পিটু সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন। মজিবুল হক মালিক মজু ও সহিদুল ইসলাম রতন সাবেক কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও এবার তাদের সে পদ অক্ষুণ্ণ থাকেনি।
আলমডাঙ্গা থানা বিএনপির সভাপতি হিসেবে আলহাজ মজিবুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আসিরুল ইসলাম সেলিম দায়িত্ব পেয়েছেন। সাবেক সভাপতি শহিদুল কাওনাইন টিলু গুরুত্বপূর্ণ পদে নেই। আমিনুল হক রোকন অবশ্য সহসভাপতি হিসেবে স্থান পেয়েছেন। এ ছাড়া কামরুজ্জামান বকুল যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ও মো. ইলিয়াস হোসেন আলমডাঙ্গা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন।
আলমডাঙ্গা পৌর বিএনপির সভাপতি হিসেবে মীর ইসমাইল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক পদে মো. সেকেন্দার আলী মনোনীত হয়েছেন। এছাড়া হাসিবুল ইসলাম সহসভাপতি, মো. ফরহাদ হোসেন যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ও মো. আজিজুর রহমান পিন্টু সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন। ।
এবারই প্রথমবারের মতো আলমডাঙ্গার গাংনী এলাকাকে সাংগঠনিক থানা এলাকা হিসেবে বিএনপি নতুন কমিটি গঠন করেছে। একমিটিতে সভাপতি সানোয়ার হোসেন লাড্ডু এবং সাধারণ সম্পদাক করা হয়েছে আলহাজ আব্দুস সবুর বকুলকে। এছাড়া রেজাউর রহমান রেজুকে সহসভাপতি, রাজিব ফেরদৌস পাপেনকে যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ও তবারক হোসেনকে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা-২ নির্বাচনী এলাকাভুক্ত জীবননগর থানা বিএনপির সভাপতি আক্তারুজ্জামান ও আনোয়ার হোসেন খাঁনকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। এ কমিটিরসহসভাপতি শাজাহান আলী, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ ও আব্দুল খালেক সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন। জীবননগর পৌর কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন শাজাহান কবীর। এছাড়া শামসুজ্জামান ডাবলুকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। মশিউর রহমান সহসভাপতি, আব্দুর রশীদ যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ও নাসির ইকবাল ঠাণ্ডু সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।
দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন রফিকুল হাসান তনু। এ কমিটির যথাক্রমে মোকাররম হোসেন সহসভাপতি, মহাম্মদ আলী শাহ যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ও খালিদ মাহমুদ মিল্টন সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। সাবেক কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে স্থান হয়নি। দর্শনার ক্ষেত্রেও অভিন্ন চিত্র। মাহমুদুর রহমান শাওনকে সভাপতি ও মহিদুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক করে দর্শনা পৌর কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটির মাহবুবুল ইসলাম খোকন সহসভাপতি, হাবিবুর রহমান বুলেট যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ও নাহারুল ইসলাম সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।
জানা গেছে, বহুভাগে বিভক্ত হয়ে পড়া চুয়াডাঙ্গা বিএনপির নেতৃবৃন্দক একীভূত করতে গত মাসের শেষভাগে নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। বেগম খালদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব অনুমোদিত নতুন জেলা আহ্বায়ক কমিটিকে ৪৫ দিনের মধ্যে থানা, পৌর ও ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি গঠনপূর্বক জেলা বিএনপির সম্মেলন সম্পন্ন করার নির্দেশনা দেয়া হয়। তারই অংশ হিসেবে চুয়াডাঙ্গার থানা ও পৌর বিএনপির নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। নতুন কমিটি কেমন হচ্ছে, কারা থাকাছে গুরুত্বপূর্ণ পদে তা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই নানামুখি গুঞ্জন চলে আসছিলো। অহিদুল ইসলাম বিশ্বাস জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর তার অনুসারীরাই লাইমলাইটে উঠে আসবেন বলে মন্তব্য করেছিলেন স্থানীয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকমহল। থানা ও পৌর কমিটি গঠনের মধ্য দিয়ে পর্যবেক্ষক মহলের আগাম মন্তব্যই সঠিক হলো। তবে চুয়াডাঙ্গা-২ নির্বাচনী এলাকায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও ১ম যুগ্মআহ্বায়ক মাহমুদ হাসান খান বাবুর অনুসারীদের সমন্বয়ের ছবি অনেকটাই দৃশ্যমান হয়েছে।এমনটি অবশ্য চুয়াডাঙ্গা-১ নির্বাচনী এলাকার ক্ষেত্রে পরিলক্ষিত হয়নি। সে কারণেই প্রশ্ন, দীর্ঘদিন ধরে নানাভাবে নানা কারণে বহু ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়া চুয়াডাঙ্গা বিএনপিকে কি সত্যি সত্যিই ঐক্যবদ্ধভাবে পাওয়া যাবে?