গাংনী পৌর মেয়র যে অভিযোগে অপসারণ

 

 

গাংনী প্রতিনিধি: গতবুধবার স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ পৌর-২ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব সরোজ কুমার নাথ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে মেহেরপুর গাংনী পৌর মেয়র আহম্মেদ আলীকে অপসারণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে মেয়রের বিরুদ্ধে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নে কয়েকটি অভিযোগ উল্লেখ করা হয়েছে। তবে অভিযোগগুলো মিথ্যা ও রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রমূলক বলে আখ্যায়িত করেন আহম্মেদ আলী।

প্রজ্ঞাপনপত্র সূত্রে জানা গেছে, ১৮টি প্রকল্পে সংশোধিত প্রাক্কলন প্রস্তুত করে বিধিবর্হিভূতভাবে ঠিকাদারকে ১৬টি কাজের বিল বাবদ ৩৩ লাখ ৯৯ হাজার ১১৭.২৩ টাকা অতিরিক্ত পরিশোধ করা হয়েছে। মাটির কাজ বাবদ প্রি-ওয়ার্ক ও পোস্ট ওয়ার্ক মাপ গ্রহণ ব্যতিরেকে মাটির কাজের পরিমাণ নির্ণয় ছাড়াই ঠিকাদারকে ২৬ লাখ ২৪ হাজার ৭৯৮/৯১ টাকা পরিশোধ করে পরস্পর যোগসাজশে আত্মসাত। ২০১১-১২ অর্থ বছরে এডিপি’র অর্থে বাস্তবায়িত ৪৬টি প্রকল্পের তদন্ত কমিটি কর্তৃক গৃহীত পরিমাপের ভিত্তিতে বিনা কাজে ৪৯ লাখ ২৫ হাজার ৬২৬/২৬ টাকা অতিরিক্ত পরিশোধ করা হয়েছে। এসব অভিযোগের কারণে স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন ২০০৯ এর ধারা ৩২(১)(ঘ) বিধান মতে স্বীয় পদ হতে তাকে অপসারণ করা হয়েছে।

এদিকে পৌর মেয়র আহম্মেদ আলী অভিযোগের বিষয়ে বলেছেন, এর কোনো সত্যতা নেই। প্রত্যেকটি কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে। সবগুলো প্রকল্পের কাজে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য তদারকি টিম দেখভাল করেছে। পৌরসভার প্রকৌশলী ছাড়াও উপজেলা প্রকৌশলী পরিদর্শন করে সুষ্ঠুভাবে কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে প্রতিবেদন দিয়েছেন।পৌরসভার সকল বিধিবিধান পালন করে টেন্ডার ও কার্য সম্পাদন ও বিল প্রদান করা হয়। সংশ্লিষ্ট সকলের যথাযথ যাচাই বাছাই এর মাধ্যমে কার্য সম্পাদনশেষে বিল পরিশোধ করা হয়েছে। তাহলে অনিয়ম কোথায় হয়েছে?প্রতিকার পেতে আইনী লড়াই করবেন বলেও জানা তিনি।