বেপরোয়া আলমডাঙ্গা ও গাংনীর সীমান্তবর্তী এলাকার মাদকব্যবসায়ীরা

 

 

স্টাফ রিপোর্টারঃ বেপরোয়া হয়ে উঠেছে আলমডাঙ্গার উপজেলার সীমান্তবর্তী হাটুভাঙ্গা ও গাংনী উপজেলার খাসমহল এলাকার মাদকব্যবসায়ী। মাদকব্যবসায়ীদের আন্তঃদ্বন্দ্বের কারণে উত্তেজনা ছড়াচ্ছে এলাকায়।

সরেজমিন এলাকা ঘুরে জানা গেছে, গাংনী উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকার খাসমহল গ্রামের পাইকারি মাদকব্যবসায়ী সাহেব আলিসহ হেমায়েতপুরের একাধিক মাদকব্যবসায়ী প্রকাশ্যে বেশ প্রতাপের সাথে মাদকব্যবসা চালিয়ে আসছে। গাংনী সীমান্তবর্তী বেশ কয়েকটি গ্রাম ছাড়াও আলমডাঙ্গা উপজেলার গাংনী সীমান্তবর্তী গ্রাম হাটবোয়ালিয়া, মোড়ভাঙ্গা, হাটুভাঙ্গা, ভাংবাড়িয়া, আসমানখালিসহ বেশ কিছু গ্রামে অবাধে মাদকব্যবসা চালাচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন- আলমডাঙ্গা উপজেলার হাটুভাঙ্গা গ্রামের গডফাদার মামুন ও তার পার্টনার তাইজেল এবং পাঞ্জাব অবাধে ও নির্বিঘ্নে মাদকব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এদেরও ব্যাপক আধিপত্য রয়েছে দু উপজেলার সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে। দীর্ঘদিন ধরে অত্যন্ত প্রতাপের সাথে এরা জমজমাট মাদকব্যবসা করে আসছে। মাঝে-মধ্যে মাদকব্যবসায়ীদের অন্তর্দ্বন্দ্বের কারনে এলাকা উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। প্রতিদ্বন্দ্বি গ্রুপগুলো একে অপরকে শায়েস্তা করতে ভাড়াটে সন্ত্রাসিও লেলিয়ে দিচ্ছে বলে এলাকায় গুঞ্জন রয়েছে। পৃথক একটি সূত্র জানায়, সম্প্রতি মাদকব্যবসায়ীদের অন্তঃদ্বন্দ্বে গাংনী উপজেলার খাসমহল গ্রামের মাদকব্যবসায়ী সাহেব আলি হাটুভাঙ্গার মাদকব্যবসায়ী তাইজেলের নিকট থেকে পাওনা টাকা আদায় করে ফেরার পথে হেমায়েতপুরের আসাদ ও হাটুভাঙ্গার নিয়ামুল তার নিকট থেকে ৩২ জাজার টাকা ও সাইকেল কেড়ে নেয়। এ নিয়ে কিছুদিন ধরে বেশ উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এদের প্রধান ব্যবসা ফেনসিডিলের। সাধারনত যুবক ও উঠতি বয়সীরা ফেনসিডিলে আসক্ত। ফেনসিডিল আসক্ত বেপরোয়া যুবক ও উঠতি বয়সী কিশোররা এদের হাতে জিম্মি। ফলে মাদকাসক্ত বিবেচনাহীন যুবক ও কিশোর হাতে থাকায় এসকল মাদকব্যবসায়ীরা নিজেদের খুবই প্রভাবশালী মনে করে। এদের দিয়ে অনেকেই ওই এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করে বেশ দাপটের সাথে চলাফেরা করেন। শুধু মাদকাসক্ত যুবক কিংবা উঠতি কিশোর কেন- স্থানীয় পুলিশও এদের পকেটে বলে অনেকে অভিযোগ তুলেছেন। তাদের দাবি ফাঁড়ি পুলিশের এতো নিকটে কীভাবে বছরের পর বছর নির্বিঘ্নে ও প্রকাশ্যে তারা মাদকব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে?