স্টাফ রিপোর্টার:চুয়াডাঙ্গা জীবননগর ফিলিং স্টেশনে ডাকাতির প্রতিবাদে জেলার সকল ফিলিং স্টেশনে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট চলছে। চুয়াডাঙ্গা ফিলিং স্টেশন ও ট্রাঙ্কলরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের দেয়া ৭২ ঘণ্টা আল্টিমেটাম শেষে এ কর্মসূচি ঘোষণা করে সংগঠনটি। গতকাল সোমবার সকাল থেকে এ ধর্মঘট শুরু হয়েছে। আজ দিতীয় দিনের মতো চলছে। গতপরশুরোববার জেলা জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতির সভাপতি মাহফুজুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক হাবিল হোসেন জোয়ার্দ্দার স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ কর্মসূচির ডাক দেয়া হয়। খুলনা বিভাগীয় ট্যাঙ্কলরি (জ্বালানি তেল পরিবহন) মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক তসলিম আরিফ জানান, ধর্মঘট চলাকালীন খুলনা ডিপো থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলায় কোনো ট্যাঙ্কলরি জ্বালানি তেল উত্তোলন ও পরিবহন করতে পারবে না। ফিলিং স্টেশনগুলো ধর্মঘটের ডাক দেয়ায় জ্বালালি তেল ক্রেতারা ভোগান্তির শিকার হয়েছেন। বিশেষ করে মোটরসাইকেল চালকরা বেশি দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাতে জীবননগর ফিলিং স্টেশনে একদল সশস্ত্র ডাকাতদল নৈশপ্রহরীদেরকে বেধে মারপিট করে আড়াই লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় তারা দুটি শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। গত শুক্রবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসাইনের সাথে বৈঠকের পর পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতি ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ডাকাতি হওয়া টাকা উদ্ধার ও জড়িতদের গ্রেফতারে আল্টিমেটাম দেয়। গতকাল সোমবার বিকেলে আকস্মিক খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি মনিরউজ্জামান জীবননগ ফিলিং স্টেশন পরিদর্শন করেন।