মাথাভাঙ্গা মনিটর: অবিশ্ববাস্যভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকেকাঁদিয়ে ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নিজেদের দশম শিরোপা জিতে নিয়েছে রিয়ালমাদ্রিদ। গতরাতে লিসবনের ফাইনালে স্পষ্ট হার দেখছিলো রিয়াল মাদ্রিদ। ম্যাচেরশেষ বাঁশি বাজার ৯০ সেকেন্ড আগ পর্যন্তও রিয়াল ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে ছিলো।স্টেডিয়ামে উপস্থিত হাজার কয়েক লস ব্লাঙ্কোস সমর্থকদের চোখে তখন কান্নারআভাস। নিজেদের দশম শিরোপা না জিততে পারার শঙ্কা তাদের চোখেমুখে। খেলোয়াড়রাওনিশ্চিত হার দেখে মুষড়ে পড়েছেন। কিন্তু ইনজুরি টাইম শেষ হওয়ার মাত্র ৯০সেকেন্ড আগে অবিশ্বাস্য কাজ করে ফেলেন রিয়ালের ডিফেন্ডার সার্জিও রামোস।ইনজুরি টাইমের তৃতীয় মিনিটে দারুণ একটি হেডের মাধ্যমে রিয়ালকে সমতা এনে দেনতিনি। মুহূর্তেও মধ্যে বিষাদের ছায়া উবে গিয়ে আনন্দ উছলে পড়ে রিয়ালসমর্থকদেও মধ্যে। অবিশ্বাস্য,অসাধারণ প্রত্যাবর্তণের মাধ্যমে দারুণভাবেসমতায় ফেরে রিয়াল। আর শেষ পর্যন্ত নগরপ্রতিদ্বন্দ্বীকে ৪-১ গোলে হারিয়েচ্যাম্পিয়ন্স লিগে নিজেদের দশম শিরোপা জিতে নেয় রিয়াল। এক যুগ অপেক্ষার পরতারা এ শিরোপা জিততে পেরেছে। সর্বশেষ ২০০২ সালে লস ব্লাঙ্কোসরা তাদেও নবমশিরোপা জিতেছিলো।
এদিন রামোসের অবিশ্বাস্য সমতা আনার পর ম্যাচ গড়ায়অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে। অতিরিক্ত সময়ের ২০ আর মোট ১১০ মিনিটের মাথায় দারুণএকটি হেডের মাধ্যমে রিয়ালকে এগিয়ে দেল ওয়েলস তারকা গ্যারেথ বেল। এ একগোলের মাধ্যমে এ মরসুমে তার পেছনে খরচ করা ৮৬ মিলিয়ন পাউন্ড উসুল হয়ে যায়রিয়ালের। পরে ১১৮ মিনিটে ব্যবধান ৩-১ করেন ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার মার্সেলো।গোল থেকে বাদ ছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। কিন্তু অতিরিক্ত ৩০ মিনিটের শেষমিনিটে প্রতিপক্ষের বিপদসীমায় ফাউলের শিকার হন তিনি। এতে পেনাল্টিরমাধ্যমে রিয়ালের ৪-১ ব্যবধানের জয় নিশ্চিত করেন রোনালদো। এটি ছিলো এ মরসুমেচ্যাম্পিয়ন্স লিগে তার ১৭তম গোল।
এর আগে রিয়ালের বিপক্ষে ৩৬ মিনিটেরগোলটি করে অ্যাটলেটিকোর দিয়েগো গদিন। তিনি প্রতিপক্ষের গোলরক্ষক ইকারক্যাসিয়ারের ভুলের সুযোগে গোলটি করেন।