হত্যাকারীদের গ্রেফতারে পুলিশ ব্যর্থ হলে এলাকাবাসীই ব্যবস্থা নেবে : অব্যাহত থাকবে আন্দোলন

 

সাংবাদিক সদরুল নিপুল হত্যার প্রতিবাদ ও হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সাংবাদিক-জনতার সমাবেশ আজ

 

স্টাফ রিপোর্টার: সাংবাদিক সদরুল নিপুল হত্যার প্রতিবাদে ও হত্যাকারীদের গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি শুধু সাংবাদিকদের নয়, সাধারণ মানুষও আন্দোলনে নেমেছেন। চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের তিনদিনের কর্মসূচি পালনের আজ দ্বিতীয় দিনে সাংবাদিক-জনতার প্রতিবাদ সমাবেশে সকল রাজনৈতিক, পেশাজীবী, সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে অংশগ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে। আজ শনিবার সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

সাংবাদিক সদরুল নিপুল হত্যার প্রতিবাদে গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবে প্রতিবাদবন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। প্রতিবাদবন্ধন কর্মসূচিতে সাংবাদিক, সামাজিক নেতৃবৃন্দসহ সাধারণ মানুষের উপস্থিতি গণসমাবেশে রূপ নেয়। অপরদিকে মোমিনপুর স্টেশনে গতকাল শুক্রবার বিকেলে এলাকাবাসীর উদ্যোগে প্রতিবাদসভার আয়োজন করা হয়। এ সভায় বক্তারা সাংবাদিক সদরুল নিপুলকে যারা হত্যা করেছে তারা ইতোমধ্যেই স্থানীয়দের কাছে পরিষ্কার হয়েছে বলে উল্লেখ করে বলেন, নীলমণিগঞ্জ মোমিনপুরে কোনো মাদকাসক্ত বা মাদকব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসের স্থান নেই। পুলিশ প্রশাসন দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হলে এলাকার শান্তিপ্রিয় জনগণই উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে। কারণ এলাকার মানুষ সদরুল নিপুলের মতো সদালাপী কর্মদক্ষ ব্যক্তির হত্যাকণ্ডকে কিছুতেই ভুলতে পারছে না। হত্যাকারীদের উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত এলাকাবাসী এ ঘটনা ভুলবে না। অপরদিকে সন্দেহভাজন খুনিদের একজনকে গতকাল মোমিনপুরে কিছুক্ষণের সময় প্রকাশ্যে দেখা মেলে। গ্রেফতারের আগেই সে গা ঢাকা দেয়। স্থানীয়দের মধ্যে অনেকেই মন্তব্য করতে গিয়ে বলেছেন, পত্রিকায় ঘাতকচক্রের গা ঢাকা শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশের পর এ ঘাতক নিজেকে সাধু বানাতে কিছুক্ষণের জন্য প্রকাশ্যে এসে আবারও আত্মগোপন করে। তার এ আচরণ স্থানীয়দের কাছে ‘ঠাকুর ঘরে কে রে? আমি তো কলা খাইনি’র মতোই বলে মনে হয়েছে। স্থানীয়দের অনেকেই বিষ্ময় প্রকাশ করে বলেছেন, সদরুল নিপুল হত্যা মামলার তদন্তকারী অফিসার জিআরপি আবু মোনায়েম যখন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন, তখনও খুনিচক্রের হোতা অবস্থান করছিলো তার নানাবাড়ি। অথচ তাকে গ্রেফতার করার কথা প্রকাশ্যে কেউ বলতে সাহস পেলো না।

চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবে শুক্রবার সকাল ১০টায় প্রতিবাদবন্ধন শেষ পর্যন্ত গণসমাবেশে রূপ নেয়। প্রেসক্লাব সভাপতি মাহতাব উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের দাতা সদস্য তৌহিদ হোসেন, খন্দকার আব্দুল জব্বার সোনা, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আজাদ মালিতা, সাংবাদিক সমিতি চুয়াডাঙ্গা ইউনিটের সভাপতি এসএম শরীফ উদ্দীন হাসু, প্রেসক্লাব সেক্রেটারি সরদার আল আমিন, জীবননগর প্রেসক্লাবের পক্ষে নারায়ণ ভৌমিক, দর্শনা প্রেসক্লাবের সভাপতি হানিফ মণ্ডল ও সাধারণ সম্পাদক ইকরামুল হক পিপুল, প্রেসক্লাব আলমডাঙ্গার সভাপতি শাহ আলম মন্টু, দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের পক্ষে বখতিয়ার হোসেন বকুল, আলমডাঙ্গা প্রেসক্লাবের যুগ্মসম্পাদক প্রশান্ত বিশ্বাস প্রমুখ। বক্তব্য দিতে গিয়ে দাতা সদস্য তৌহিদ হোসেন বলেন, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সাংবাদিকেরা যখন নিরাপত্তাহীনতায়, একের পর এক খুন হচ্ছে। অথচ বিচার হচ্ছে না। চুয়াডাঙ্গার সাংবাদিক বজলু খুন গুম, যশোরে শামসুর রহমান ক্যাবল খুন, খুলনার বালুসহ অনেকেই নৃশংসতার শিকার হয়েছেন। সর্বশেষ চুয়াডাঙ্গা মোমিনপুরের সদরুল নিপুল পরিকল্পিতভাবে খুন হয়েছে। পূর্বের হত্যাকাণ্ডের বিচার না হলেও সদরুল নিপুল হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার করে আমরা চুয়াডাঙ্গার মানুষ দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চাই। উপস্থিত অপর দাতা সদস্য খন্দকার আব্দুর জব্বার সোনা অভিন্ন আহ্বান জানিয়ে বলেন, চুয়াডাঙ্গার সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চুয়াডাঙ্গাবাসী আন্তরিক। সাংবাদিক সদরুল নিপুল হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত রাখতে হবে। পুলিশকে আন্তরিক করে হত্যাকারীদের বিচারের মুখোমুখি করার পাশাপাশি তাদের গডফাদারের মুখোশও উন্মোচন করার সময় এসেছে। বক্তব্য দিতে গিয়ে প্রবীণ সাংবাদিক আজাদ মালিতা চুয়াডাঙ্গায় কর্মরত সকল ইউনিটের সাংবাদিকদের আন্দোলন কর্মসূচি গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে বলেন, বজলুকে খুন গুম করেছে। ঘাতককে আমরা বিচার করতে না পারলেও সৃষ্টিকর্তার বিচারে তাকে অকালেই ঝরে যেতে হয়েছে। সদরুল নিপুল হত্যার বিচার আমরা করবোই করবো।

অপরদিকে সাংবাদিক সদরুল নিপুলের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামানায় গতকাল বাদজুম্মা নীলমণিগঞ্জের দুটি জামে মসজিদে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। সদরুল নিপুলের বাড়িতে পারিবারক উদ্যোগে দোয়াখায়েরের অয়োজন করা হয়। চুয়াডাঙ্গা মোমিনপুর রেলস্টেশনে সাংবাদিক সদরুল নিপুল হত্যার প্রতিবাদে গতকাল বিকেলে এক প্রতিবাদসভার আয়োজন করা হয়। প্রতিবাদসভার সভাপতি মোমিনপুর ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক জোয়ার্দ্দার বক্তব্য দিতে গিয়ে বলেন, কারা এবং কেন সদরুল নিপুলের মতো একজন সরল মানুষকে খুন করেছে তা আমাদের কাছে আর অজানা নয়। খুনিরা ইতোমধ্যেই চিহ্নিত হয়েছে। অথচ পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছে না। আমরা বেশি দিন ধৈর্য ধরবো না। পুলিশ না পারলে আমাদেরকেই পারতে হবে। কারণ এ জনপদে মাদককারবারী ও সন্ত্রাসের ঠাঁই নেই। সরকারি গাছচোর, জমি জবরদখলকারীদের স্থান নেই। গতকাল শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে নীলমণিগঞ্জ বাজার কমিটি এ প্রতিবাদসভার আয়োজন করে। নীলমণিগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ীসহ এলাকাবাসী ১ ঘণ্টা কর্মবিরতিরেখে সমাবেশে যোগ দেন। সমাবেশে তারা ১ মিনিট নীরবতা পালন করে নিপুল হত্যার সম্মিলিত প্রতিবাদ জানান। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল মান্নান বিশ্বাস। বিশেষ অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আজিজুল হক হযরত, নীলমণিগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমান, নীলমণিগঞ্জ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক খালিদ হাসান মিলন, মোমিনপুর বাজার কমিটির সাবেক সভাপতি হেলাল উদ্দীন বিশ্বাস, বাজার কমিটির সভাপতি ওয়ার্ড মেম্বার মোস্তাফিজুর রহমান নিপুল, মোমিনপুর বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মাজু মিয়া, সাজু মিয়া ও বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতির চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার দপ্তর সম্পাদকদেশ টিভি চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি খাইরুজ্জামান সেতু, সাংবাদিক অনিক সাইফুল, সাইফ জাহান, হোসাইন মালিক ও তৌহিদ হোসেন তোতাসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

প্রতিবাদসভায় সভাপতি মোমিনপুর ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক জোয়ার্দ্দার বক্তব্যে আরও বলেন, আগামী ৭ দিনের মধ্যে নিপুল হত্যার তদন্ত রিপোর্ট আসবে সেটা নিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ ও জিআরপি পুলিশ একে অপরের ঘাড়ে দায়িত্ব দিয়ে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। পুলিশ যদি আসামিদের গ্রেফতার করতে ব্যর্থ হয় তাহলে জনগণ সাথে নিয়ে কঠোর আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে। রেলওয়ে সম্পত্তি যারা বাপ-দাদার সম্পত্তি মনে করে অবৈধভাবে দখল করে মাদকের স্বর্গরাজ্য তৈরি করেছে তারাই নিপুলের মতো সাহসী সাংবাদিককে হত্যা করেছে। তাদেরকে কোনোভাবেই ছাড় দেয়া হবে না। প্রতিবাদসভায় তিন দিনের কর্মসূচির ঘোষণা করা হয়। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে আজ শনিবার বাজারের ব্যবসায়ীদের কালোব্যাজ ধারণ ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে কালো পতাকা উত্তোলন করা হবে।

দর্শনা অফিস জানিয়েছে,দৈনিক মাথাভাঙ্গার মোমিনপুর প্রতিনিধি সাংবাদিক সদরুল নিপুল নৃশংসভাবে খুন করে দুষ্কৃতীরা। হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিতে সোচ্চার জেলার সর্বস্তরের সাংবাদিকরা। পরিকল্পিত এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে দর্শনা প্রেসক্লাব ৩ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় দর্শনা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদসভায় সভাপতিত্ব করেন ক্লাব সভাপতি হানিফ মণ্ডল। আলোচনা করেন প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক সমিতির সমন্বয়ক মনিরুজ্জামান ধীরু, সমিতির সভাপতি আওয়াল হোসেন, সহসভাপতি চঞ্চল মেহমুদ ওসাধারণ সম্পাদক এসএম ওসমান। ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইকরামুল হক পিপুলের উপস্থাপনায় নিপুল হত্যার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জ্ঞাপন করে আরো আলোচনা করেন ক্লাবের সহসভাপতি কামরুজ্জামান যুদ্ধ, যুগ্মসম্পাদক নজরুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ জাহিদুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আহ্বায়ক হারুন রাজু, সাবেক যুগ্মআহ্বায়ক মনিরুজ্জামান সুমন, আজিম উদ্দিন, সাংবাদিক এফএ আলমগীর, মাহমুদ হাসান রনি, ইয়াসির আরাফাত মিলন, শিপন রহমান, আহসান হাবীব মামুন, নুরুল আলম বাকু, সাব্বির আলীম, রাজিব মল্লিক, মুনজুর আহম্মেদ, মোস্তাফিজুর রহমান কচি, তারিক জামান, জিল্লুর রহমানমধু, মেহেদী হাসান প্রমুখ। সভা থেকে গৃহীত সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে আজ শনিবার চুয়াডাঙ্গায় প্রতিবাদসভায় যোগদান, আগামীকাল ২৫ মে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি পেশ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ, আগামী ২৭ মে বিকেল সাড়ে ৪টায় চুয়াডাঙ্গার সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে দর্শনা প্রেসক্লাবের আয়োজনে শোকৱ্যালি ও প্রতিবাদসভা। ২৮ মে সকাল ১০টায় দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে স্মারকলিপি পেশ। দর্শনা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা বলেছেন, নিপুল হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের অবিলম্বে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা না হলে বড় ধরনের আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।।

দামুড়হুদা অফিস জানিয়েছে, আঞ্চলিক গণমাধ্যম দৈনিক মাথাভাঙ্গার মোমিনপুর প্রতিনিধি সাংবাদিক সদরুল আলম নিপুলের নির্মম হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেছে এলাকার সুধীমহল। সেই সাথে এ নৃশংস হত্যাকাণ্ড যারা ঘটিয়েছে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. সিরাজুল আলম ঝন্টু, দামুড়হুদা হাউলী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান বিশিষ্ট সমাজসেবক মো. শহিদুল ইসলাম, দামুড়হুদা আব্দুল ওদুদ শাহ ডিগ্রি কলেজের প্রিন্সিপাল মো. কামাল উদ্দিন, দামুড়হুদা গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের সভাপতি মো. ইসমাইল হোসেন, দামুড়হুদা সদর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. রফিকুল হাসান তনুসহ স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকার সাংবাদিকবৃন্দ।

উল্লেখ্য, চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের মোমিনপুর ইউনিয়নের নীলমণিগঞ্জের মরহুম নূর মোহাম্মদের ছেলে সদরুল নিপুল দৈনিক মাথাভাঙ্গার মোমিনপুর ইউনিয়ন প্রতিনিধি ছিলেন। তিনি গত ২০ মে রাতে বাড়ির অদূরবর্তী মোমিনপুর রেলওয়ে স্টেশনে হত্যার শিকার হন। হত্যাকারীরা ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য রেললাইনের ভেতরে ফেলে রাখে। ট্রেনে কেটে খণ্ড-বিখণ্ড হয় সদরুল নিপুলের নিথর দেহ। পরদিন উদ্ধার করা হয় লাশ। তার স্ত্রী বাদী হয়ে পোড়াদহ জিআরপি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গতকাল সরেজমিন পরিদর্শনের পাশাপাশি স্থানীয়দের নিকট থেকে ঘটনার বর্ণনা সংগ্রহ করেন।