স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার হাতিকাটায় অবস্থিত মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুত সমিতির নাম চুয়াডাঙ্গায় পরিবর্তন করে চুয়াডাঙ্গা পল্লী বিদ্যুত সমিতি নামকরণ করার দাবি করেছে চুয়াডাঙ্গাবাসী। দীর্ঘ ১৯ বছর ধরে চুয়াডাঙ্গায় মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুত সমিতির নামে কার্যক্রম চালিয়ে এলেও সমিতির চেয়ারম্যান,পরিচালক ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে নাম পরিবর্তনের কোনো উদ্যোগ গ্রহণ না করায় চুয়াডাঙ্গাবাসীর মনে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। অবিলম্বে নাম পরিবর্তন করে চুয়াডাঙ্গা পল্লী বিদ্যুত সমিতির নামকরণের দাবি করেছে জেলাবাসী।
মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুত সমিতি চুয়াডাঙ্গা জোনাল অফিসের কার্যক্রম ১৯৯৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়। এর আওতাধীন এলাকা চুয়াডাঙ্গা সদর, জীবননগর ও দামুড়হুদা। মোট ইউনিয়নের সংখ্যা ১৮টি ও দুটি পৌরসভা দর্শনা ও জীবননগর। এর মধ্যে ৩১০টি গ্রামের মধ্যে ২৫৭টি গ্রামকে বিদ্যুতায়িত করা সম্ভব হয়েছে। ৫৩টি গ্রাম এখনও বাকি রয়েছে বিদ্যুতায়িত হতে। আবাসিক, বাণিজ্যিক, শিল্প, সেচ, সিআই ও রাস্তার বাতিসহ গ্রাহকের সংখ্যা ৬৮ হাজার।
মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুত সমিতি আলমডাঙ্গায় জোনাল অফিসের কার্যক্রম ২০০৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়। এর আওতাধীন এলাকার সংখ্যা ১৫টি ইউনিয়ন। আবাসিক, বাণিজ্যিক, শিল্প, সেচ, সিআই ও রাস্তার বাতিসহ গ্রাহকের সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজার।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা ও আলমডাঙ্গা জোনাল দুটি অফিসের আওতাধীন গ্রাহকের সংখ্যা ৯৮ হাজার। এ দুটি জোনাল অফিস থেকে যে রাজস্ব সরকার পায় তার চেয়ে কম রাজস্ব আদায় হয় মেহেরপুর ও গাংনী জোনাল অফিস থেকে। কারণমেহেরপুর অফিসের আওতাধীন গ্রাহকের সংখ্যা ৩৬ হাজার ৩৫৮টি এবং গাংনী জোনাল অফিসের আওতাধীন গ্রাহকের সংখ্যা ৩২ হাজার ১০০টি।
চুয়াডাঙ্গা জেলা আইনজীবী সমিতির সিনিয়র আইনজীবী আ্যাড. এসএমসাইদুজ্জামান গনি টোটন জানান, চুয়াডাঙ্গা চারটি উপজেলা নিয়ে গঠিত বৃহৎ এ জেলা থেকে যেমন প্রচুর রাজস্ব সরকার পেয়ে থাকে তেমনি গ্রাহকের সংখ্যা দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। গ্রাহকদের সেবারমান বৃদ্ধির ও তাৎক্ষণিক সেবা পৌঁছে দিতে প্রতিষ্ঠানটির পৃথকীকরণ ও স্বাতন্ত্র্য সমিতি গঠন বর্তমানে সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে ।
চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার বলেন, সময়ের প্রয়োজন মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুত সমিতি গঠন করা হয়েছিলো। তবেবর্তমানে গ্রাহকদের চাহিদার কথা বিবেচনা করে আমি মনে করি, চুয়াডাঙ্গা পল্লী বিদ্যুত সমিতি পৃথকভাবে গঠন করার সময় হয়ে পড়েছে। এব্যাপারে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির দর্শনা এলাকার পরিচালক হায়দার আলী জানান, বর্তমানে সমিতির গ্রাহকরা মিটার ও তার না পাওয়ায় বিড়ম্বনার মধ্যে রয়েছেন। তবেকিছু মিটার পাওয়া গেলেও তার পাওয়া যাচ্ছেনা। তিনি আরো জানান, সমিতি পৃথক হোক এটা আমিও চাই। এব্যাপারে ২০১০ সালে স্থানীয় দু সংসদ সদস্যদেরকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছিলো। তবেতেমন অগ্রগতি হয়নি ।
এব্যাপারে জানতে চেয়ে মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুত সমিতির মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মো. আলী হোসেনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।