ফলোআপ: চুয়াডাঙ্গা-জীবননগর সড়কের আকন্দবাড়িয়া তমালতলায় দুর্ঘটনা
স্টাফ রিপোর্টার: দুর্ঘটনায় স্বামী আতিকুর রহমান আতিক নিহত হওয়ার ৭ দিনের মাথায় স্ত্রী অনন্যা পারভীনও মারা গেলেন। ঢাকার মেট্রোপলিটন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার দিকে অনন্যা শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
অনন্যা পারভীনের মৃতদেহ তার পিতার গ্রাম ঝিনাইদহ মহেশপুরের শ্যামকুড়ে নেয়া হয়। সেখানেই দাফনের কথা। বিয়ের মাত্র সাড়ে ৪ মাসের মাথায় গত ১৫ মে বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে স্বামী-স্ত্রী মোটরসাইকেলযোগ চুয়াডাঙ্গা থেকে শ্যামকুড়ের উদ্দেশে রওনা দিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হন নব দম্পতি। চুয়াডাঙ্গা-জীবননগর সড়কের দর্শনা আকন্দবাড়িয়া তমালতলার অদূরবর্তী স্থানে বাস, করিমন ও মোটরসাইকেলের ত্রিমুখি সংঘর্ষে স্বামী আতিকুর রহমান আতিক, তার স্ত্রী অনন্যা পারভীনসহ বাসের বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হন। ঘটনাস্থলেই নিহত হন আতিক। তিনি চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকাধীন বেলগাছি ঈদগাপাড়ার অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংকার হাজি আব্দুর রহীমের ছেলে। আতিক লন্ডনে লেখাপড়া শেষ করে ঢাকার গাজিপুরে একটি ইনস্যুরেন্সে চাকরি করতেন। গত ২০ ডিসেম্বর আতিকের সাথে শ্যামকুড় খন্দকারপাড়ার রবিউল হোসেনের মেয়ে অনন্যার বিয়ে হয়। বিয়ের সাড়ে ৪ মাসের মাথায় দুর্ঘটনায় স্বামী-স্ত্রী দুজনকে ইহকাল ছেড়ে চলে যেতে হলো।এদের বিয়ের ছবিগুলো এখন ফ্রেমে বাঁধানো স্মৃতি।